শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর মাধ্যমিকের মূল্যায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় বন্ধ রয়েছে। একই সাথে বন্ধ রয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে শুরু হওয়া চলততি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নও। বিগত ৩ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৩০ জুলাই এ মূল্যায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মূল্যায়নের বিষয় নিয়ে স্ববিস্তারে জানিয়ে এর আগে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার তদারক সংস্থা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান
মাঝপথে থেমে যাওয়া মূল্যায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে—মাউশির পক্ষ থেকে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানানো হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এখন ছুটি চলছে, সেহেতু আপাতত কোনো মূল্যায়ন গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক সৈয়দ জাফর আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় আমরা মূল্যায়ন পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করতে পারছি না। বিদ্যালয়গুলো খোলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে এইচএসসি পরীক্ষায় না বসার ঘোষণা নটর ডেমের শিক্ষার্থীদের
অন্যদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার কারণে বন্ধ থাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খুলতে চান বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে গত ১৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ছাড়াতে গিয়ে পুলিশের হাতে লাঞ্ছনার শিকার ঢাবি শিক্ষিকা
এরপর একে একে বন্ধের ঘোষণা আসে দেশের সবগুলো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও। সবশেষ গত বুধবার (২৪ জুলাই) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।