২৭ মে ২০২৪, ১৩:০২

৪৫০ বছরের পুরনো স্কুল ভবন হেরিটেজ হিসেবে রক্ষা না করে ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ

  © সংগৃহীত

৪৫০ বছরের পুরনো ভবন ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা। দাবি করেছেন, হেরিটেজ (পুরাকীর্তি) হিসেবে ভবনটি রক্ষা করা যেত। কিন্তু কিছু মানুষের অদূরদরর্শিতার কারণে ভবনটি রক্ষা না করে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সাবেক শিক্ষার্থীদের দাবি— নতুন ভবন নির্মাণের সময় পাশেই একই ডিজাইনে আরেকটি ভবন নির্মাণ করে ১৭৯ বছরের পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা স্মৃতি ধরে রাখতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হোক।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভা প্রধান ছিলেন ১৯৫৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ১৯৫৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও কাজী ফার্মসের কর্ণধার কাজী জাহেদুল ইসলাম, ১৯৬৪ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও গবেষক হাশেম সূফী, ১৯৮০ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও নোভা ব্যান্ডের জনপ্রিয় গায়ক এ এফ এম করিম (ফজল)-সহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

সভা সঞ্চালনা করেন কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ।


কাজী ফার্মসের কর্ণধার কাজী জাহেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও লিভিং হিস্ট্রি ভেঙে ফেলা হয় না। ১০০ বছরের পুরনো ভবন ভাঙতেও রাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। অথচ আমাদের ৪৫০ বছরেরও বেশি পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলা হলো।’

স্কুল ভবনের ইতিহাস তুলে ধরে হাশেম সূফী বলেন, ‘বাহাদুর শাহ পার্কের দুই পাশে ছিল কলেজিয়েট স্কুল ভবন। পরে একপাশে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন ও আরেক পাশের জায়গা গভঃ মুসলিম হাই স্কুলকে দেওয়া হয়েছিল। যে ভবনটি ভাঙা হয়েছে সেখানে ১৮৯ বছরের প্রাচীন এই স্কুলটি ছিল গত ৭৮ বছর যাবৎ। এর আগে এটি ছিল সার্কিট হাউস। তারও আগে পর্তুগীজ ও ইংরেজদের গেস্ট হাউস। ভবনটি ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের আবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে।’

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সময় রাহমান মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমাদের ৪৫০ বছরের পুরনো ভবন ভেঙে ফেলা, স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে কথা বলা এবং ১৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিজেদের সংগঠিত করাই মূলত এ সভার উদ্দেশ্য। আমাদের আজকের এই আয়োজন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের হাতকে শক্তিশালী করবে।’

সভার শুরুতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়াত সভাপতি এইচ টি ইমাম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক-সহ যেসব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী মারা গেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়