০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রকাশ

মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাঠদান  © সংগৃহীত

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তত এক বছর দুর্গম অঞ্চলে বাধ্যতামূলক চাকরি করতে হবে উল্লেখ করে নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, সমতলের শিক্ষকদের অন্তত ১ বছর পাহাড়ি অঞ্চল, দুর্গম চর ও হাওর অঞ্চলে চাকরি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা না থাকায় এবং বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিপত্র ও অফিস আদেশ যুগোপযোগী করার উদ্দেশে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।

আরো বলা হয়, প্রতি শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে আগ্রহী শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে পারবেন। এ সময়সীমা ব্যতীত অন্য কোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে শুধু সিনিয়র সচিব বা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করা যাবে।

প্রতি অক্টোবর মাসে শিক্ষকদের যুক্তিযুক্ত কারণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নলিখিত শর্তে সরাসরি (অনলাইনে) আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের দরকার নেই।

মহানগর ও জেলা সদরে কর্মরত শিক্ষকের চাকরি একই প্রতিষ্ঠানে টানা ৬ বছরের বেশি হলে তাকে নিজ জেলায় অথবা কর্মস্থলের পাশের জেলায় বদলি করা হবে।

বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা/পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেওয়া, সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা হবে না। আবেদনের শর্তে বলা হয়েছে, বর্তমান কর্মস্থলে চাকরিকাল তিন বছর পূর্ণ হতে হবে, বদলির জন্য উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে।

আবেদন বিবেচনায় অনুসরণীয় বিষয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা যাবে না।

সমতলের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে পার্বত্য (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) অঞ্চলে এবং দুর্গম চর ও হাওর অঞ্চলে বদলি করা হলে তাকে ১ বছর সেখানে চাকরি করতে হবে। এরপর তিনি অন্য জেলায় বদলির আবেদন করতে পারবেন।