ভিকারুননিসার এক শিক্ষক ও প্রাক্তন-বর্তমান চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানী বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন হয়েছে। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এ অগ্নিকাণ্ডে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক ও প্রাক্তন-বর্তমান চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আগামী রবিবার (৩ মার্চ) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন সোমবার (৪ মার্চ) সকল শাখায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দু'আ পাঠ এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। শুক্রবার (১ মার্চ) কলেজ থেকে শোক প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ এর মূল প্রভাতি (৭ম-১০ম) শাখার শিক্ষক লুৎফুন নাহার করিম (লাকী) ও তাঁর কন্যা জান্নাতিন তাজরী (সাবেক ছাত্রী), সাদিয়া আফরিন আলিশা, অষ্টম শ্রেণি, সেকশন-ক, রোল-৬১ মূল প্রভাতী (৭ম-১০ম) ও ফওজিয়া আফরিন রিয়া (সাবেক ছাত্রী) এবং লামিসা ফারিয়া (সাবেক ছাত্রী)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঘটনায় ভিকারুননিসা পরিবার অত্যন্ত মর্মাহত ও শোকাহত। এই দুর্ঘটনায় ভিকারুননিসা পরিবারের সদস্যসহ সকল নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
“সকল নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রবিবার প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণির পাঠদান, পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং সোমবার সকল শাখায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দু'আ পাঠ এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে।”
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে কজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো সাততলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে। তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানান। এরপর নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন হয়েছে।