মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৪৩১৬ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫১ কোটি ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৪২৩৩ কোটি) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। একই প্রকল্পে আরও ১ কোটি ডলার গ্লোবাল ফিন্যান্সিং ফেসিলিটির (জিএফএফ) আওতায় অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি।
এর মাধ্যমে ‘ট্রান্সফরমিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্ট অপারেশন (টিএসইআরও) শীর্ষক কর্মসূচিতে মোট ৫২ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ কর্মসূচিটি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার।
চুক্তি সইয়ের পর কাজী শফিকুল আযম বলেন, টিএসইআরও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মাধ্যমিক শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার জন্য। সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি জানান, মানবসম্পদ উন্নয়নে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অনেক দূর এগিয়েছে। এমনকি ইউএনডিপির হিসাব অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।
তবে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকারি ও উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে বিচ্ছিন্নভাবে আর প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে শফিকুল আযম বলেন, টেকসই ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিত প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।
রাজশ্রী পারলকার বলেন, শিক্ষার জন্য এটা একটি সমন্বিত প্রকল্প। আশা করছি, এই ঋণের মাধ্যমে ১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। দেশের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, এই প্রকল্পের জন্য আইডিএ ঋণ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সহজ শর্তের ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি শূন্য শতাংশে নির্ধারণ রয়েছে।