দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনশনকারীদের দুই প্রস্তাব
দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আমরণ অনশনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
রোববার দুপুরে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভুষণ রায় এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত এ প্রস্তাবনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার এটি গ্রহণ করেন।
তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- প্রথমত, বরাদ্দ করা টাকা কম হলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এনে এবার আংশিক বেতন চালু করে পরবর্তী অর্থবছরে তা সমন্বয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অপনটি, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য এমপিওভুক্তির পর তিন বছর সময় দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে লাগাতার আমরণ অনশন কর্মসূচী এক সপ্তাহ পার করলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনশন অংশ নিয়ে সপ্তম দিনের মাথায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দেড়শ’র মতো শিক্ষক-কর্মচারী। আন্দোলনকারীরা বলছেন, আন্দোলনে কোনো শিক্ষকের প্রাণ গেলে তার দায় শিক্ষামন্ত্রীকে নিতে হবে।
জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো রোববারও জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে বসে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা ঢাকায় এসে এ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। ২৫ জুন থেকে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন।
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৪০ জনকে স্যালাইন দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিনে ৯ জন শিক্ষক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আবারো আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা হঠাৎ করে রাস্তায় বসে আন্দোলন শুরু করিনি। পর্যায়ক্রমে ২৭ দফায় আন্দোলন করেও আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তারপরও বাস্তবায়ন করা হয়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়নে আমরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।
১০ জুন থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছি। গত সাতদিন ধরে আমরণ আনশন পালিত হচ্ছে। যদি এ আন্দোলনে কোনো শিক্ষকের প্রাণ যায় তবে এর দায়ভার শিক্ষামন্ত্রীকে নিতে হবে।