কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। সেখানকার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
নিহত ওই কলেজ ছাত্রের নাম কল্যাণ সরকার হৃদয় (২০)। তিনি সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি বিষয়ের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও আশুলিয়ার ডেইরি ফার্ম এলাকার রতন কুমার সরকারের ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের মা রিতা রাণী সরকার বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২০ জুন ওই কলেজছাত্র ও তার বন্ধুরা আশুলিয়ার স্বন্দ্বীপ এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে ওই কলেজছাত্রকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করেন সাভার ডেইরি ফার্ম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস ও তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ওই স্কুলশিক্ষক এবং তার লোকজন হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে। তবে পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে হৃদয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষক পরিবার নিয়ে বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, এলাকায় মাদকবিরোধী একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন ডেইরি ফার্ম স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। গত ২০ জুন হৃদয় ও মামুন ওই এলাকায় মাদক সেবন করতে গেলে স্কুলশিক্ষক এবং কমিটির লোকজন তাদের মারধোর করে। এ ঘটনার ৩ দিন পর হৃদয় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।