মাধ্যমিকের নতুন ক্লাস রুটিন প্রকাশ, ক্লাস দুই শিফটে

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে পাঠানো ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সমন্বিত রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার (১১ মে) মাউশির সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়।

এতে এক শিফটের সাধারণ স্কুলগুলোকে সকাল ১০টায় পাঠদান শুরু করে দুপুর ১টা থেকে ৪৫ মিনিট বিরতি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিরতির পর বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদান করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে দুই শিফটের স্কুলগুলোতে প্রথম শিফটে সকাল সাড়ে ৭টায় পাঠদান শুরু করে ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত বিরতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিরতির পর আবারও দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাঠদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় শিফট দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু করে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে বিরতি দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিকেল ৩টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৫ মিনিট পর্যন্ত পাঠদানের কথা বলা হয়েছে।

মানতে হবে যেসব নির্দেশনা-
ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশ

অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামত বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে। নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে মনে পিরিয়ড়ে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে। প্রথম থেকে তৃতীয় পিরিয়ড হবে ৬০ মিনিটের এবং চতুর্থ থেকে সপ্তম পিরিয়ড হবে ৫০ মিনিটের।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সঙ্গীত গাইবার ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শরীরচর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোক্রমেই সেশনের সময় কমানো যাবে না।

রুটিনে উল্লেখিত ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির কোনো বিষয়েরই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।

জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১ বৈশাখ, ১ মে, ১৫ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় দিবসে সেশন রুটিন অনুসরণ না করে, দিবস পালনে বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকরা আগে থেকেই পরামর্শ করে শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবসের কার্যক্রম সাজাবেন। যেন এসব দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন তা অর্জিত হয়।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাকে সে বিষয়েরই সেশন/শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।

এছাড়া দুই শিফট- সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সেশন রুটিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা-

১. ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত বিষয়সমূহ যেভাবে রয়েছে, সেভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২. অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য রুটিনে উল্লিখিত দিন এবং সময়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব সুবিধামত বিষয়সমূহ স্থাপন করে পূর্ণাঙ্গ রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।
৩. নবম এবং দশম শ্রেণির জন্য রুটিন ছক অনুসারে সপ্তম পিরিয়ডে অতিরিক্ত একটি ক্লাস নিতে হবে।
৪. রোল কলের কারণে প্রথম পিরিয়ড হবে ৪৫ মিনিটের এবং বাকি পিরিয়ডগুলো হবে ৪০ মিনিটের।


সর্বশেষ সংবাদ