নকলে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষার কেন্দ্রে শিক্ষক লাঞ্ছিত
ঝালকাঠির নলছিটিতে এস.এস.সি পরীক্ষায় নকলে বাধা দেওয়ায় এক শিক্ষককে পরীক্ষার্থী ও তার মা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পাশাপাশি লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বি.জি একাডেমি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
লাঞ্ছিত হওয়া শিক্ষকের নাম মো. নান্না মিয়া। তিনি উপজেলার সরমহল পুনিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী নাহিদ হাওলাদার বি.জি ইউনিয়ন একাডেমির ছাত্র।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় ওই কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে শিক্ষক নান্না মিয়া পরিদর্শকের দায়িত্ব ছিলেন। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী নাহিদ হাওলাদারের অসদুপায় অবলম্বনের বিষয়টি বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের বিশেষ ভিজিল্যান্স টিমের এক সদস্য লক্ষ্য করেন। ওই সময় তিনি কক্ষ পরিদর্শক মো. নান্না মিয়াকে ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উত্তরপত্র নিয়ে টেবিলে জমা রাখতে বলেন। নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ওই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিয়ে নেন। পরে ওই শিক্ষক দায়িত্ব পালন শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় পরীক্ষার্থী নাহিদ তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায় ওই পরীক্ষার্থীর মা আলমতাজ বেগম শিক্ষকের কলার ধরে তাকে লাঞ্ছিত করেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা: অভিযুক্ত কাউছার আটক
শিক্ষক নান্না মিয়া বলেন, কেন্দ্রের গেটে আমাকে হেনস্তা করার ঘটনা দেখে কয়েকজন শিক্ষক এগিয়ে এলে পরীক্ষার্থী নাহিদ দ্রুত সরে পড়েন। আর পরীক্ষার্থীর মাকে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এরপর তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে একটি মুচলেকাও দিয়েছেন।
পরীক্ষার্থীর মা আলমতাজ বেগম বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টির সমাধান হয়েছে।
এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. আলি হায়দার বলেন, উভয়পক্ষের সমঝোতায় বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে।
এদিকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সরকারি নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আকাশ হাওলাদার নামে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুল ইসলাম তাকে বহিষ্কার করেন। বহিষ্কৃত আকাশ হাওলাদার উপজেলার সিদ্ধকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।