৫ শিক্ষার্থীর সহোদরদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির নির্দেশ আদালতের
ঢাকার ধামরাইয়ের ৫ শিক্ষার্থীর সহোদরদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা সেখানকার হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম। এ দিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০২২-(১২ ধারা) অনুযায়ী পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সহোদর/সহোদরা ভাই-বোনকে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রিট পিটিশনকারী ৫ অভিভাবকের ছেলে-মেয়ে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত থাকলেও তাদের অন্য ছেলে-মেয়েদের (সহোদর) ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করেনি। এ কারণে সন্তানদের পক্ষে অভিভাবকরা হাইকোর্টে রিট করলে রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি রিটকারীদের ৫ সন্তানকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির এ নির্দেশ দেন আদালত।
রিটের ফলে নুসরাত আক্তার সিনহা, শামসুন্নাহার, খালিদ আহমেদ তাজ, তাসফিয়া খান মজলিস এবং লামিসা তাসনিম আয়ান ওই বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। কিন্তু তারা ওই সুযোগ না পাওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত আজ এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে তাহলে ওই শিক্ষার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি। কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ ২ (দুই) সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এ সুবিধা।