পাঁচ বছরে প্রায় ২ হাজার ফল পরিবর্তন, ১০৩ জনের ফেল থেকে জিপিএ-৫
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ করে অনেক শিক্ষার্থী পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত ফল। খাতা চ্যালেঞ্জ করে গত পাঁচ বছরে রেকর্ড ১ হাজার ৭৪৪ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। একই সময়ে ফেল থেকে পাস করেছে ২১১ ও ফেল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৩ জন। শিক্ষকদের ‘ভুলে’ এমন পরিস্থিতি বলে মত কর্তৃপক্ষের। এতে বিব্রত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথও।
পুনর্নিরীক্ষণের ফলে সর্বশেষ চলতি বছর ৪৫ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেছেন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৪ জন। ফল পরিবর্তন হয়েছে ১৮২ জনের। কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় এবার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য ১৪ হাজার ৫২৫ পরীক্ষার্থী আবেদন করে।
এর আগে, ২০২১ সালে ২৭ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস ও ৫৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়। নতুন করে জিপিএ ৫ পায় ছয়জন। উত্তরপত্রের ফল পরিবর্তন হয় ১৪১টির। ২০২০ সালে রেকর্ড ৬০৯ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে, যাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ ৫ পায়। ৪১ জন ফেল থেকে করে পাস।
আরও পড়ুন: স্কুলের চেয়ে কলেজে আসন বেশি, ফাঁকা থাকবে প্রায় ৮ লাখ
২০১৯ সালে ৩৬৫ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। যার মধ্যে নতুন করে জিপিএ ৫ পায় ২৪ জন। ফেল থেকে পাস করে ৪৭ জন। ২০১৮ সালে ৫২৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়। ফেল থেকে পাস করে ৫১ জন ও জিপিএ ৫ অর্জন করে ৪৮ জন। ওই বছর ২৩ হাজার ৩৮০ পরীক্ষার্থী বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করে।
গত ২৮ নভেম্বর ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের পর অনেক শিক্ষার্থী ভালো পরীক্ষা দেয়ার পরেও ফেল করেন। আবার অনেকে কাঙ্খিত ফল বা জিপিএ লাভ করতে পারেনি। পরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মমতো শিক্ষা বোর্ডগুলো উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষার আবেদন চেয়ে নোটিশ দেয়।
এতে সারাদেশের প্রায় সব কটি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে দুই লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৪ জন পরীক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করেন। গতকাল শনিবার এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে ফেল করা অনেক শিক্ষার্থী শুধু পাসই নয় অনেকে আবার জিপিএ-৫ পেয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ফলাফল প্রকাশে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও মনোযোগ সহকারে খাতা দেখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও শিক্ষকদের চরম অমনোযোগিতা, অসচেতনতা, দায়িত্বহীনতা ও অদক্ষতার প্রমাণ পাচ্ছি আমরা। দেখা যাচ্ছে, সাতের স্থলে ভুলে দিচ্ছেন শূন্য। শিক্ষকরা যোগ-বিয়োগেও ভুল করছেন। কিছু শিক্ষকের এমন কাজে আমরা বিব্রত।