প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় এসএসসি’র ফল
চলতি নভেম্বর মাসে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে চায় আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। সে অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সম্মতি দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য সম্ভাব্য তিনটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রথম প্রস্তাবনায় ২৮ নভেম্বর, দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় ২৯ নভেম্বর এবং তৃতীয় প্রস্তাবনায় ৩০ নভেম্বর ফল প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে এই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সমন্বয় বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ফল প্রকাশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার কথা রয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী ২৮, ২৯ অথবা ৩০ নভেম্বর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া মাত্রই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে যাবেন। সেজন্য আগামী ২৮ নভেম্বর ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সেভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) খালেদা আক্তার রোববার (২০ নভেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে আমাদের কাছে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনা অনুযায়ী ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আপনারা জানতে পারবেন।
আগামী ২৮ নভেম্বর এসএসসির ফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে সেখানে ২৮, ২৯ ও ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ১ অক্টোবর উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়। ১০ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডসহ ১১টি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন। সারাদেশে ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু এ বছর প্রথমে করোনার কারণে এবং পরে সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পেছানো হয়।