এসএসসি’র ফল প্রকাশ নিয়ে তিন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় নিয়ে তিনটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এই প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। ১ অক্টোবর উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়। ১০ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডসহ ১১টি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন। সারাদেশে ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য সম্ভাব্য তিনটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রথম প্রস্তাবনায় ২৮ নভেম্বর, দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় ২৯ নভেম্বর এবং তৃতীয় প্রস্তাবনায় ৩০ নভেম্বর ফল প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে এই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সমন্বয় বোর্ড।
ওই সূত্র আরও জানায়, আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের প্রস্তাবনা নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা। তবে এই প্রস্তাবনায় প্রাথমিক অনুমোদন দিয়ে তা এখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়নি। চলতি সপ্তাহে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নভেম্বরের শেষের তিনদিনের যেকোনো একদিন ফল প্রকাশের জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এটি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটি বলা যাচ্ছে না।
এসএসসি’র ফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার আগেই ফল পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) খালেদা আক্তারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা হয়। কিন্তু এ বছর প্রথমে করোনার কারণে এবং পরে সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পেছানো হয়।