দুই ছাত্রের মারামারিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্কুল
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা উদয়ন একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে নবম ও দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্যে অভিভাবকরা জড়িয়ে পড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সজিবের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় নবম শ্রেণির ছাত্র পরভেজের। এ ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে অভিভাবকরা। স্থানীয়ভাবে তৈরি হয় গ্রুপিং ও দেখা দেয় উত্তেজনা। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে কলম কেনার জন্য বিদ্যালয়ের অদূরে ভেড়ামারা বাজারে যায় সজিব। এ সময় তাকে মারধর করে পারভেজ ও তার অভিভাবকরা। এ ঘটনা প্রধান শিক্ষককে জানায় সজিব। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অপর পক্ষ।
আরও পড়ুন: হলের বারান্দা থেকে পড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দুপুরের দিকে পারভেজ ও তার পক্ষের ১৫-২০ জন যুবক শ্রেণি কক্ষে ঢুকে সজিবকে মারধর করে। শ্রেণিকক্ষ থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে স্কুলের মাঠে এনে আরেক দফা মারধর করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা ওই শিক্ষার্থীকে রক্ষা করতে যান। এ সময় হামলাকারীরা শিক্ষকদের ওপরও চড়াও হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম আহমেদ জানান, ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। একই সঙ্গে ইউনিয়নের বিট অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহেরকে ফোন দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেদায়েতুল হক জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিদ্যালয়ের পাঠদান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষকদের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।