২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫২

আরও চার বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের শঙ্কা

শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কেবল গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত ও কৃষি শিক্ষা নয়; বাংলা ও ইংরেজি দুই পত্রের চার বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ছয়টি বিষয়সহ বাংলা ও ইংরেজি দুই পত্রের প্রশ্নও ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার দিন থেকেই ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাটি আলোচনায় আসতে থাকে। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার আগে সবার মুখে মুখে এটি ছড়াতে থাকে। এরপর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার আগে তা ব্যাপক আকারে প্রকাশ পায়। এমনকি ফেসবুকেও এই খবর বের হয়। পরবর্তীতে সাংবাতিকরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোড়র তৈরি করে।

প্রশ্নফাঁসের পর গত বুধবার সকালে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্ত কেন্দ্রসচিব ও নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কক্ষে অভিযান চালিয়ে বুকসেলফের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৪ বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে। প্রতিটি প্যাকেটই খোলা ছিল। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের আহ্বায়ক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলা ও ইংরেজি চার বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশ্ন সর্টিং করা হয় গোটা পরীক্ষা কমিটির সামনে। আর ট্রেজারি থেকে দৈনিক প্রশ্ন আনার সময়ে কমপক্ষে তিনজন থাকেন। তারা হলেন-ট্যাগ অফিসার, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রসচিব। যদি সর্টিং করার সময়ে প্রশ্ন সরানো না হয়, তাহলে পরীক্ষার যে কোনোদিন সরানো হয়। এ অবস্থায় কমপক্ষে তিনজনের যোগসাজশ ছাড়া অপকর্ম হওয়া কঠিন। এখন যদি শুধু প্রধান শিক্ষক প্রশ্ন এনে থাকেন, তাহলে বাকি দুজনের দায়িত্বে অবহেলা আছে। আর যদি তাদের উপস্থিতিতে ঘটে থাকে, তাহলে যোগসাজশ থাকাই স্বাভাবিক। এখন আসলে কী ঘটেছে, সেটি জানতে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।