বন্ধ হয়নি, এসএসসি পরীক্ষার মাঝেও চলছে কোচিং-প্রাইভেট
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে কোচিং সেন্টারে পাঠদান। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজস্ব বা ভাড়া বাসায় কোচিং পরিচালনা করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের শিক্ষকরাও পড়াচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজে চলছে এসএসসি পরীক্ষা। তার পাশের কোচিং সেন্টারগুলোতে চলছে পাঠদান। গত তিন দিনই, এখানে ১২টি কোচিং সেন্টারেই এসএসসিসহ বিভিন্ন শ্রেণির পাঠদান চলে। গত মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১১টায়। তখনও পাঠদান চলছিল বর্ণমালা একাডেমি, এসএম শিক্ষা পরিবার, প্রত্যয় একাডেমিসহ ১২টি কোচিং সেন্টারে।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ বলেন, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা ৬ নভেম্বর থেকে শুরু। তাই এক মাস ধরে কোচিং করছি।
অভিভাবক রেহানা আক্তার জানান, ‘আমার সন্তান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। নভেম্বরে পরীক্ষা। স্কুলের পাশাপাশি পড়ালেখার বাড়তি তদারকি করতেই কোচিংয়ে দিয়েছি। ’
মনিপুরের বিভিন্ন অলিগলিতে কোচিং এ পড়ান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার বিভিন্ন শিক্ষক নিজ নিজ বাসায় কোচিং সেন্টার খুলেছেন। এসব কোচিং সেন্টারে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পাঁচ থেকে আটটি ব্যাচে পাঠদান চলে। প্রতি ব্যাচে রয়েছে ২০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ফের বাবা হচ্ছেন মার্ক জাকারবার্গ
এসএম শিক্ষা পরিবারের স্বত্বাধিকারী বিকাশ আহমেদ জানান, বর্তমানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাচ রয়েছে। তিনি জানান, পরীক্ষার দুই-তিন দিন বন্ধ রেখে সবাই কোচিং সেন্টার চালু করেছেন। তাই তিনিও কোচিং সচল রেখেছেন।
ভিকারুননিসার শিক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, আগে অনলাইন ও অফলাইনে কোচিং করাতাম। বর্তমানে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোচিং বন্ধ রয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক জানান, ‘কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। শিক্ষকরা ঘরে শিক্ষার্থী পড়ালে তাঁদের ধরাও সম্ভব হয় না। মূলত শিক্ষকদের নৈতিকতা ও প্রতিজ্ঞা ঠিক না থাকার কারণেই তাঁরা এমন কাজ করছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার জানান, ‘শিক্ষকদের কোচিং পরিচালনার বিষয়ে আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। তবে কে কোথায় পড়াচ্ছেন, তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। ’