১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৩৫

৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের পর ম্যাজিস্ট্রেটকে আইনি নোটিশ

খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার পর সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্ট্রেট) মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন মো. ইসমাইল রহমান। তারপর তিনি ঠুনকো অভিযোগে একের পর এক বহিষ্কার করা শুরু করেন। পরে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্রী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুনঃ প্রশাসনিক জটিলতা বন্ধে ফের অবস্থান শুরু ঢাবি শিক্ষার্থীর

নোটিশে ৯ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার পূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান ও নাইম সরদার এ নোটিশ পাঠান। মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান যথাযথ কারণ ছাড়াই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। ফলে ওই ৯ শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর হতাশা। তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলে তিনি বহিষ্কারাদেশের কোনো পরিবর্তন করবেন না বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে বহিষ্কার করায় শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনি ঘটনাটি দেশের প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তিকে আলোড়িত করেছে। ঘটনা বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিপীড়নমূলক, বেআইনি এবং অযাচিত ভাবে ৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’