পিরোজপুরে ১৮৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠদান, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ
পিরোজপুর জেলায় ৯৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮৫টি ভবনই রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এসব জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম। যার ফলে তাদের মেধা বিকাশ ও জীবনের জন্য এক গভীর হুমকিতে পরিণত হয়েছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, ঝুঁকি আর আতঙ্ক নিয়েই চলছে পিরোজপুর সদর উপজেলার ৭৭ নম্বর করিমুন্নেছা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। জেলার ৭টি উপজেলার ৯৮৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮৫টি বিদ্যালয়ই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, পিরোজপুরের ৯৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫১। বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর সংকট শিক্ষার ভবিষ্যৎকে নিয়ে সন্দিহানে পরিণত করছে, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে রয়েছে।
করিমুন্নেছা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান আহমেদের অভিভাবক বলেন, ‘শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রানী মণ্ডল বলেন, ‘পুরনো হওয়ায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা কিংবা শিক্ষকরা কার্যক্রম চালাতে পারছে না। আশা করছি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমস্যার দ্রুত সমাধান করবেন।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বক্তিয়ার রহমান রয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিস্থিতির প্রতি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ এর মাধ্যমে এসব বিদ্যালয় মেরামত বা নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি স্বীকার করেন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।