১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৯:০৫

অস্ট্রেলিয়ায় স্কলারশিপ নিয়ে উন্মুক্ত সেমিনার

উন্মুক্ত সেমিনার  © টিডিসি ফটো

অস্ট্রেলিয়ায় স্কলারশিপ নিয়ে উন্মুক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্যাক এশিয়া স্টাডি এব্রোড ঢাকার পান্থপথ অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মান, পড়াশোনার ধরন, স্কলারশিপ, খণ্ডকালীন ও পুর্নকালীন সময় চাকরি, স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ, ভিসা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

২৫ জন ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে বক্তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, বিশ্বের সেরা একশত বিশ্ববিদ্যালগুলোর সাতটিই অস্ট্রেলিয়ায়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া জুড়ে আরও রয়েছে ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১ হাজার ১০০টির  বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে অনায়াসেই উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সেদেশের সরকার প্রতিবছর ২৫ কোটি ডলার পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে।এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও  ২৫-৫০% স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।  আর এসব সুবিধা ছাড়াও উচ্চডিগ্রি অর্জনের পর সেখানে একটি ভালো চাকরির পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তো থাকছেই।

অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা: অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাউন্ডেশন-ডিপ্লোমা- স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য ও-লেভেল,  এ লেভেল /এইচএসসিতে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য স্নাতক পরীক্ষায় ভালো ফল থাকতে হবে। রেজাল্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তারপরও মনে রাখতে হবে উচ্চশিক্ষার জন্য বরাবরই ইংরেজিতে ভালো হওয়াটা অবশ্যক। আইইএলটিএস এ ব্যান্ড স্কোর ৬-৬.৫  হলে বেশ ভালো অফার পাওয়া যায়। উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া খুবই বৈচিত্রপূর্ণ। কারণ এখানে একদিকে যেমন প্রচুর বৃত্তির সুযোগ আছে, পাশাপাশি স্নাতক/আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে অনেক বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এখানে পড়াশোনা চলাকালীন খণ্ডকালীন চাকুরী ও ছুটির সময় ফুলটাইম চাকরির সুবিধা আছে যা দিয়ে খুব সহজেই থাকা-খাওয়ার খরছ চলে যায়। 

বিশেষত: প্রকৌশলের বিষয়, ডাটা সাইন্স, আইটি, সাইবার সিকিউরিটি, মেডিকেল সাইন্স,  নার্সিং, অ্যাকাউন্টিং, পাবলিক হেলথ, কেমিস্ট্রি, ফিজিওথেরাপি- এসব বিষয়ে খুবই মানসম্পন্ন পড়াশোনা এবং পরবর্তী সময়ে ভালো চাকরির সুযোগ রয়েছে এখানে এবং ৩-৫ বছর পর্যন্ত পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক পারমিটসহ পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়ার আরেকটি বিশেষ দিক হলো এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিগুলো অনেক সমৃদ্ধ। তাদের আর্কাইভের বই ছাড়াও লাইব্রেরিতে অনলাইনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সব লাইব্রেরির বই পড়তে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার পড়াশোনা ও গবেষণার সুবিধার্থে বিশ্বের নামিদামি জার্নাল ও পত্রপত্রিকাগুলোতেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবাধে গমন করতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়ায় যারা পড়তে ইচ্ছুক সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্যাক এশিয়া বাংলাদেশ’ অনেক বছর ধরে এর অস্ট্রেলিয়ার নামীদামী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি ও ভিসার জন্য সহযোগীতা করে। 

প্যাক এশিয়ার স্টাডি এবরোড বাংলাদেশ এর  প্রধান কন্সালণ্টেন্ট  প্রদীপ রায় জানান, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটির শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের দক্ষ পরামর্শকদের কাছ থেকে  শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার মান, অবস্থান, শিক্ষক কারা, পড়ার বিষয়, আইইএলটিএস কোর্স এবং কিভাবে স্কলারশিপ বা পড়ার সুযোগ এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেতে পারেন।