স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়
টিউশন ফি কম। থাকা-খাওয়ার খরচ বাংলাদেশের মতোই। তবে রয়েছে বিশ্বমানের পড়াশোনা। এমন একটি দেশের সন্ধান পেলে কেমন হয়? বলছি, পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের মধ্যবর্তী দেশ তুরস্কের কথা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা অর্জনে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি তুরস্কও নানা ধরনের স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে তেমনই একটি স্কলারশিপ দিচ্ছে সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়।
পড়ুন ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করুন ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে
বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিষয়ভেদে আবেদনের সময়সীমার ভিন্নতা রয়েছে। সময়সীমা জানতে ক্লিক করুন এখানে।
‘সাবাঞ্চি ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। এছাড়াও মাসিক উপবৃত্তি, স্বাস্থ্য বীমা, গবেষণা ভাতা ও ভ্রমণ ভাতাসহ নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি ও বিজনেস অনুষদভুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইডি করতে পারবেন।
সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
* সম্পূর্ণ টিউশন মওকুফ করা হবে।
* উপবৃত্তি হিসেবে প্রতি মাসে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার লিরা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
* পিএইচডির শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৫ হাজার লিরা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৩২ হাজার টাকা।
* ডরমিটরিতে আবাসনের ব্যবস্থা।
* স্বাস্থ্য বীমা।
* ভ্রমণ অনুদান।
যোগ্যতার মানদণ্ড:
* স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ভালো ফলধারী হতে হবে।
* ৩০ ডলারের আবেদন ফি প্রদান করা হবে।
* ইংরেজি দক্ষতা স্কোর জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
* একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
* সুপারিশ চিঠি।
* রেসিডেন্স পারমিটের কপি।
* সরকারী প্রতিলিখন।
* ইংরেজি ভাষার দক্ষতা স্কোর।
আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন।