স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে ডালিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
বর্তমান বিশ্বের বিস্ময় গণচীন। কি অর্থনৈতিক, কি রাজনৈতিক কিংবা সামরিক, সব দিকেই পৃথিবীর প্রথম সারিতে চীনের অবাধ বিচরণ। যে চীন কে নিয়ে এত কথা, এত আগ্রহ, তাদের এ উন্নতির পিছনে আসল কারণ কি? একটাই উত্তর এর গবেষণামূলক শিক্ষাব্যবস্থা। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকেই ছাত্রছাত্রী চীনে পড়তে আসেন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, এমনকি দিনে দিনে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন বেড়েই চলেছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এবার স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে চীনের ডালিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (ডিইউটি)। বাংলাদেশসহ সকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৩১ মার্চ। গত ১ নভেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়েছে।
‘চাইনিজ গভমেন্ট স্কলারশিপ-চাইনিজ ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করা হবে। সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান, ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা, মাসিক উপবৃত্তি ও স্বাস্থ্য বীমাসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। স্নাতকোত্তরের সময়সীমা ৩ বছর এবং পিএইচডির সময়সীমা ৪ বছর।
ডালিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি চীনের একটি পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৪৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের সমাজতান্ত্রিক দলের প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক বিশ্ববিদ্যালয়।
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
* সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে।
* ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
* স্নাতকোত্তরে প্রতি মাসে ৩ হাজার ইউয়ান প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিামাণ প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
* পিএইচডিতে প্রতি মাসে ৩ হাজার ৫০০ ইউয়ান প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিামাণ প্রায় ৪৭ হাজার টাকা।
* স্বাস্থ্য বীমা।
যোগ্যতার মানদণ্ড:
* চীনের নাগরিকরা আবেদনের যোগ্য নয়।
* সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
* স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের কম হতে হবে।
* পিএইচডির ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তরে ভালো ফলধারী হতে হবে এবং ৪০ বছরের কম বয়সী হতে হবে।
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সনদ প্রদান করতে হবে। টোয়েফল আইবিটি তে ন্যূনতম ৮০ পেতে হবে। অথবা আইইএলটিএস এ ন্যূনতম ৫.৫ স্কোর তুলতে হবে।
* চাইনিজ ভাষার ক্ষেত্রে ‘চাইনিজ পোফিসিয়েন্সি টেস্ট (এইচএসকে)’ স্কোর প্রদান করতে হবে।
আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন:
*একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
* গবেষণা পরিকল্পনা।
* শারীরিক ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট।
* ৬টি ছবি।
* পাসপোর্টের অনুলিপি।
* নো-ক্রিমিনাল কনভিকশন সার্টিফিকেট।
* রিকমেন্ডেশন লেটার।
আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।