০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৫৪

ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন চালমার্স ইউনিভার্সিটিতে

চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি,সুইডেন  © সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় সুইডেন অনন্য। দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ডিগ্রির বিশ্বজোড়া সুনাম রয়েছে। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়াও উন্নত জীবনমান ও নিরাপত্তার দিক থেকেও চমৎকার। ব্যয়বহুল শিক্ষব্যবস্থা হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চোখ থাকে স্কলারশিপের উপর। তেমনি একটি সুযোগ দিচ্ছে চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। স্নাতকোত্তরে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশসহ মোট ১৪৩ টি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৭ জানুয়ারি।

‘অ্যাডলারবার্ট স্টাডি স্কলারশিপ’ এর আওতায় স্নাতকোত্তর করতে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের টিউশন ফি লাগবে না। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির যে কোনো বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারবেন। মোট ৪ সেমিস্টার শেষ হবে ২ বছরে।

চালমারস ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি সুইডেনের গোথেনবার্গে অবস্থিত একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যারয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, স্থাপত্য, গণিত, সামুদ্রিক এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গবেষণা এবং শিক্ষার উপর জোর দিয়ে থাকে। এমআইটি র‌্যাংক অনুযায়ী ২০১৮ সালে বিশ্বের সেরা ১০ টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল চালমার্স ইউনিভার্সিটি।

১৮২৯ সালে সুইডিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন পরিচালক উইলিয়াম চালমারের অনুদানে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সুইডেনে মোট ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাক্তির নামে নামকরণ হয়। চালমার্স ছাড়া অন্য দুটি হল ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট ও লিনিয়াস ইউনিভার্সিটি।

যেসব বিষয়ে স্নাতকোত্তর রয়েছে:

অটোমেশন এবং মেকাট্রনিক্স, আর্কিটেকচার, বায়োটেকনোলজি এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স, ম্যাথমেটিক্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিটাইম ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি এবং শিক্ষা।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ:

* সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
* বিশ্ববিদ্যালয়টির যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা যাবে।

যোগ্যতার মানদণ্ড:

* স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
* নির্ধারিত ১৪৩ টি দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। ইসিটিএস পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ ক্রেডিট পেতে হবে।
* ফলাফলকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন:

* স্নাতকের সনদ।
* ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ।
* পাসপোর্ট।
* জীবন বৃত্তান্ত (সিভি)।
* মোটিভেশন লেটার।
* রিকমেন্ডেশন লেটার।
* প্রকল্পের পোর্টফোলিও।
* প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা (যদি থাকে)।

আবেদন পদ্ধতি:

অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন