ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডির সুযোগ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ও প্রকৌশলভুক্ত বিষয়গুলোতে সাধারণত প্রচুর স্কলারশিপ বা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। খুব কমই সামাজিক বিজ্ঞান কিংবা মানবিকের বিষয়ে সুবিধা দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিকের জন্য খ্যাত সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি।
৮০ ভাগ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশসহ সকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।
‘সিইইউ ডক্টরাল স্কলারশিপ’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। এছাড়া জীবনযাত্রার জন্য মাসিক উপবৃত্তি ও স্বাস্থ্যবীমাসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। মাসিক উপবৃত্তি বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার ৩০০ ইউরো প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।পিএইচডির মেয়াদ ৩ বছর।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, পাবলিক পলিসি ও রাজনীতি কিংবা অনুরূপ বিষয়গুলো নিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে স্নাতকোত্তরে শক্তিশালী ফলাফল থাকলে সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিকের অন্য বিষয়গুলো নিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীদেরও প্রাধান্য দেয়া হবে।
সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থিত একটি প্রাইভেট গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এর অন্য একটি ক্যাম্পাস হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট-এ অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ বিশ্বসেরা। ১৯৯১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
* সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে।
* স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হবে।
* আবাসন এবং জীবনযাত্রার খরচ বাবদ প্রতি মাসে উপবৃত্তি হিসেবে ১ হাজার ৩০০ ইউরো প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
আবেদনের যোগ্যতা:
* যে কোনো দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
* সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের যে কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর থাকতে হবে।
* স্নাতকোত্তরে ভালো ফলধারী হতে হবে।
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। টোয়েফল আইবিটি-এ ন্যূনতম ৮৮ স্কোর তুলতে হবে। অথবা আইইএলটিএস-এ ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর পেতে হবে।
আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন:
* দুইটি রিকমেন্ডশন লেটার।
* স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রতিলিপি।
* একটি সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রম জীবনবৃত্তান্ত।
* প্রকাশনার তালিকা (যদি থাকে)।
* ৫০০ শব্দের মধ্যে ব্যাক্তিগত বিবৃতি।
* ১৫০০ শব্দের মধ্যে একটি গবেষণা প্রস্তাব।
আবেদন পদ্ধতি:
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন।