শরণার্থীদের জন্য টিচার ফেলোশিপ চালু

উচ্চশিক্ষায় শতকরা তিন ভাগ শরণার্থী
উচ্চশিক্ষায় শতকরা তিন ভাগ শরণার্থী  © প্রতীকী ছবি

তরুণ শিক্ষিত শরণার্থীদের শিক্ষক হিসেবে কাজ করা সুযোগ করে দিচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। আর সে লক্ষ্যে সংস্থাটি স্নাতক শরণার্থীদের জন্য একটি বিশেষ ফেলোশিপের আয়োজন করেছে।

প্রাথমিকভাবে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে এ কর্মসূচি নেওয়া হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য দেশেও তা চালু করা হবে।

'টিচ ফর অল' নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যৌথভাবে চালু করা টিচার ফেলোশিপের উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী তরুণ শরণার্থীদের কাজের সুযোগ তৈরি করা।

তাছাড়া শরণার্থীরা যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন সে দেশের সংস্কৃতির সাথে যেন খাপ খাইয়ে নিতে পারে সে সুযোগ তৈরি করা। বিশ্ব ব্যাংকের এক তথ্য বলছে, শিক্ষিত কর্মজীবীরা প্রতিবছর শতকরা ১৭ ভাগ বেশি আয় করে। আর তাই এমন উদ্যোগ নিয়েছে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা দুটো।

অন্তর্জাতিক সংস্থা 'টিচার ফর অল' বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষাদানের জন্য গ্রেজুয়েট ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। ইউএনএইচসিআরের সাথে তাদের এ যৌথ উদ্যোগের ফলে শিক্ষিত শরণার্থীরাও এমন কাজের সুযোগ পাবে।

উচ্চশিক্ষায় শতকরা তিন ভাগ শরণার্থী: ইউএনএইচসিআরের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান রেবেকা টেলফোর্ড বলেন, টিচ ফর অল সংস্থার সাথে তাদের এ উদ্যোগ স্নাতক বা গ্র্যাজুয়েট শরণার্থীদের চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করবে। পাশাপাশি তারা যে দেশে অবস্থান করছে সে সমাজে তাদের সক্রিয়ভাবে অবস্থান করতে সাহায্য করবে।

ইউএনএইচসিআরের জার্মান সরকারের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মান একাডেমিক রিফিউজি ইনিশিয়েটিভের আওতায় ফেলোশিপ কর্মসূচিটি পরিচালিত হবে।  সংক্ষেপে ডাফি নামে পরিচিত এ কর্মসূচির আওতায় শরণার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

ডাফির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা ১৫ ভাগ তরুণ শরণার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি করতে চায় ইউএনএইচসিআর। বর্তমানে এ সংখ্যা মাত্র তিন ভাগ।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ