সিলেটের ২০ শিক্ষার্থী পেলেন আমেরিকার মাইক্রো স্কলারশিপ

  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে পরিচালিত ইংলিশ অ্যাকসেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় দুই বছর মেয়াদি অ্যাকসেস প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করে স্কলারশিপ পেয়েছেন সিলেটের ২০ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১০ জন তরুণ এবং ১০ জন তরুণী। প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের ইংরেজি ভাষা, বিশ্লেষণাত্মক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নেতৃত্বের দক্ষতাসহ অন্যান্য বিপণনযোগ্য যোগাযোগ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা (সফট স্কিল) আরও শক্তিশালী করেছেন।

সোমবার (১২ এপ্রিল) এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ইংলিশ অ্যাকসেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামের নবীন ২০ জন স্নাতককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত মিলার মহামারির সময়ে কোর্সটি সম্পন্ন করতে তারা যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, সে জন্য স্থানীয় মাদ্রাসা ও পাবলিক বিদ্যালয়ের ১০ জন তরুণী এবং ১০ জন তরুণের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।

মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশ কিছুদিন আগেই তার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করল- যে দিনটিতে দেশটি তার নিজের পথ নিজেই তৈরি করে নেওয়ার অভিপ্রায় ও সামর্থ্যের ঘোষণা দিয়েছিল। তরুণ মনের শক্তিকে স্বীকৃতি জানানোর এর চেয়ে ভালো সময় আর হয় না- ঠিক আপনাদের মতো (তরুণ)- যারা পরবর্তী ৫০ বছরের নকশা আঁকবেন। আপনারা এই দক্ষতা সঙ্গে নিতে পারেন এবং কাজে লাগাতে পারেন সেই নেতাদের মতো করে, যারা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বেন।

বৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতা

ইংলিশ অ্যাকসেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রাম একটি দ্বি-বার্ষিক কর্মসূচি, যা অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত ১৩-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ইংরেজি ভাষা, আমেরিকান সংস্কৃতি, বিশ্লেষণাত্মক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চর্চা এবং নেতৃত্বর ভিত তৈরি করে এবং উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য তাদেরকে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে সহায়তা করে।

বর্তমানে, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের ৭৬ জন শিক্ষার্থী অ্যাকসেস প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন। চলতি ২০২১ সালে আরও ২০০ শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ২০০৪ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে ১,২৬০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এটি সফলভাবে শেষ করেছেন। আজকের উত্তীর্ণরা বিশ্বের ৮৫টির বেশি দেশে অ্যাকসেস প্রোগ্রামের আরও ৯৫ হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীর দলে যোগ দিলেন।

উদ্দেশ্য

সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ব্যক্তিসম্পর্ক ও শিক্ষা-সংযোগ প্রসার, স্থানীয়ভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী শিক্ষার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশি যুবাদের ক্ষমতায়নের জন্য ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নেওয়া অনেক উদ্যোগের একটি এই অ্যাকসেস প্রোগ্রাম।

কর্মসূচির সহযোগী

এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ইএইচডিএস), অ্যাকসেস প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে দূতাবাসের অংশীদার। ২০০৯ সালে সিলেটভিত্তিক এই অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক্সচেঞ্জ কর্মসূচির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সংস্থাটি মূলত মেয়েদের শিক্ষা, নারী ও মেয়েদের নেতৃত্বের বিকাশ এবং ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। ২০১০ সাল থেকে তারা ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিশ্বস্ত অংশীদার। সিলেটে কমিউনিটির উন্নয়ন ও শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য ইএইচডিএসকে একাধিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ঢাকার ইংরেজি ভাষা প্রোগ্রাম সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, দেখুন: https://bd.usembassy.gov/education-culture/english-language-programs/

শিক্ষার্থীদের জন্য দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত অন্যান্য এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ বিষয়ক তথ্যের জন্য, দেখুন: https://bd.usembassy.gov/education-culture/student-exchange-programs/

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ এবং শেখার রিসোর্সের সন্ধান পেতে, দেখুন: https://americanenglish.state.gov/ এবং এর ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/AmericanEnglishatState।

যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ইংরেজি শিক্ষক ও শিক্ষা পেশার ব্যক্তিদের জন্য অ্যাসেসমেন্ট অব ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নার্স বিষয়ে বিনা মূল্যের ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স (এমওওসি) সম্পর্কে আরও জানতে, দেখুন: https://www.canvas.net/browse/fhi-pd/courses/assessment-english-language-learners