বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের হাঙ্গেরিতে স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ
হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ’ দিয়ে আসছে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স ও ডক্টরাল নিয়ে হাঙ্গেরিতে পড়ছেন। বাংলাদেশ থেকে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স পর্যায়ে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকামের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত বছর থেকে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এই স্কলারশিপ।
স্কলারশিপের অধীনে টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি। পাশাপাশি পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যবিমাও। তবে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরাল- তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একাধিক আবেদন করলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
স্নাতকে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে পড়তে গেলে প্রয়োজন হবে আইইএলটিএসের। কিছু ক্ষেত্রে আইইএলটিএসের প্রয়োজন হয় না।
এবার হাঙ্গেরি সরকার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ফুল ফ্রি স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপে আবেদন নেওয়া শুরু করেছে। এই স্কলারশিপের অধীনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করা যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনলাইন আবেদনের পাশাপাশি ও যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মার্কশিট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রের হার্ডকপিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন এই স্কলারশিপ পাবেন বা কতজন বাংলাদেশিকে এই স্কলারশিপ দেওয়া হবে, তা আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই।
স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকামের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করা যাবে। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারির মধ্যে পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে।
ইচ্ছে করলে হাঙ্গেরির কাছের দেশ ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগালে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যায়। হাঙ্গেরির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর ২ বা ৩ বার ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। এগুলো হলো এপ্রিল থেকে জুলাই, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর।
প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব অনলাইন ওয়েবসাইট। হাঙ্গেরি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।