‘জার্নিটা কঠিন, তবে হাল ছাড়া যাবে না’
উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের কাছে এক আকাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। বিশ্বমানের শিক্ষা, গবেষণার সুযোগ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির টানে প্রতিবছরই অসংখ্য শিক্ষার্থী পাড়ি জমাচ্ছেন এই দেশে। তাদেরই একজন ইমরান হাসান তুহিন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভানিয়ার গ্যানন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। সম্প্রতি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তার বিদেশে পড়ার অভিজ্ঞতা, পড়াশোনার মান, চ্যালেঞ্জ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে আগ্রহীদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে আমার রেজাল্ট সন্তোষজনক। এরপর ব্যাচেলর সম্পন্ন করি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে থাকার সময় থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য টপ-লেভেলের কোনো দেশে পড়ার। সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিই। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাডেমিক আর কালচারাল ভেরিয়শনটা আমার পছন্দ। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। এজন্য আইএলটিএসকে বেছে নিই। আইএলটিএসের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে প্রথম দিকে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল। এ সময়টাতে সিনিয়রদের থেকে হেল্প পেয়েছি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাডমিশনের সুযোগ পাওয়া আর ভিসা পাওয়া দুটো ভিন্ন ব্যাপার। ভিসা ইন্টারভিউ এর আগে জোরালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সাথে বিদেশের পড়াশোনার মূল পার্থক্য সাইকোলজিক্যাল। বাংলাদেশে আমরা যেই পড়াটাকে একভাবে চিন্তা করি সেইম বিষয়টিকে তারা অন্যভাবে আরও সৃজনশীল আকারে দেখে। ইটস নট অ্যাবাউট হোয়াট ইউ রিড ইটস অল অ্যাবাউট হোয়াট ইউ থিংক। এখানে অ্যাকাডেমিক কোপ আপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবসময়ই ফ্রেন্ডলি আর কো অপারেটিভ। আমি আমার ল্যাকিংস খুঁজে বের করে ক্লাস টিচারের সহায়তা নিয়েছি। অ্যাকাডেমিক চ্যালেঞ্জ ছিলো অনেক তবে প্রফেসরদের কো অপারেশনে সেটাকে ওভারকাম করতে পেরেছি।
বিদেশে পড়ার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা মাল্টিকালচারাল কান্ট্রি। প্রথমদিকে অনেকটা উইয়ার্ড আর মিশ্র ফিলিংস ছিল। তবে স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া থেকে বিরত থেকেছি। এখানে সবকিছু নিজেকেই করতে হয়; এখানে কেউ কাউকে সময় দিবে এমনটাও আশা করা বোকামি। সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে শুরুর দিকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী-কমিউনিটি থেকে কিছুটা সাহায্য পেয়েছিলাম।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের; এটার জন্য আমেরিকা বরাবরই উপরের সারিতে। সুযোগ পেলে এখানেই ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, জার্নিটা একটু কঠিন। তবে হাল ছাড়া যাবে না। রিকোয়ারমেন্ট ফিলাপ করলে আর সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। বিদেশে যোগ্যদেরকেই প্রায়োরিটি দেওয়া হয়, সো আপনি যোগ্য সেটা প্রমাণ করুন।