১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৮

ব্রিটিশ কাউন্সিল দিচ্ছে ফুল ফান্ডেড আর্থ স্কলারশিপ  

ব্রিটিশ কাউন্সিল আর্থ স্কলারশিপ ২০২৫  © সংগৃহীত

‘‘ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কটল্যান্ড এসজিএসএএইচ আর্থ স্কলারশিপ’’ প্রোগ্রামটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে ও এসজিএসএএইচের (স্কটিশ গ্র্যাজুয়েট স্কুল ফর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এই স্কলারশিপ ২০২৩ সালে চালু করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পিএইচডি ও সবেমাত্র ক্যারিয়ারে পদার্পণ করা গবেষকদের, স্কটল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরামর্শদাতাদের ও বাইরের সংগঠনগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক গবেষণা সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা। পরিবেশগত শিল্প ও মানবিক বিষয়ে গবেষণা করা এবং কীভাবে এই ক্ষেত্রগুলো অন্যান্য শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় তা নিশ্চিতি করা।

এই প্রোগ্রামটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শিল্প ও মানবিক বিষয়ের ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (স্টেমসহ) অন্তর্বিভাগীয় গবেষণায় জোর দিয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল ৭ থেকে ৯ জন গবেষককে এই স্কলারশিপের জন্য এবারে অর্থায়ন করবে। এসজিএসএএইচ-এর এএইচআরসি (আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস রিসার্স কাউন্সিল) ও এসএফসির (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফিউচার্স কমিশন) অর্থায়নপ্রাপ্ত পিএইচডি গবেষকরাও এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

আগ্রহী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বের প্রার্থীরা আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

সুযোগ-সুবিধা—

*শতভাগ স্কলারশিপ;

*জীবিকা নির্বাহের খরচ;

*ভ্রমণ ব্যয়;

*বাসস্থানের খরচ;

*আইইএলটিএস দরকার নেই;

*পরিবেশগত শিল্পকলা ও মানবিক শাস্ত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য গবেষণা অর্থায়ন;

*স্কটল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ;

*স্টেমের (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস) বিভিন্ন শাখায় আন্তর্বিভাগীয় গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ;

*পেশাদার নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণ ও ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ;

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৩ লাখ টাকার ফেলোশিপ

দরকারি কাগজপত্র—

*গবেষণা প্রস্তাবনা (সর্বোচ্চ ১০০০ শব্দের মধ্যে);

*হালনাগাদ সিভি;

*পিএইচডি তত্ত্বাবধায়কের অনুমোদনপত্র;

*স্কটিশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ;

*পিএইচডি ডিগ্রির প্রমাণপত্র;

আবেদনের শর্তাবলি—

*শিল্পকলা ও মানবিক শাস্ত্রে পিএইচডি গবেষক হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে ও যুক্তরাজ্যের বাইরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত হতে হবে;

*পিএইচডি গবেষকেরা তত্ত্বাবধায়কের অনুমোদন সাপেক্ষে যেকোনো পর্যায়ে আবেদন করতে পারবেন;

*স্কলারশিপ প্রাপ্তদের অবশ্যই পিএইচডি ডিগ্রির পুরস্কার বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে থাকতে হবে;

*বিশেষ পরিস্থিতিতে স্কলারশিপ প্রাপ্তদের জন্য যোগ্যতার সময়সীমা দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে;

*আন্তর্বিভাগীয় পিএইচডি হলে প্রকল্পের অন্তত ৫০ শতাংশ শিল্পকলা ও মানবিক শাস্ত্রের মধ্যে হতে হবে;

*প্রোগ্রামটি যুক্তরাজ্যের বাইরের সবার জন্য উন্মুক্ত, তবে গ্লোবাল সাউথভুক্ত দেশের (রুয়ান্ডা, জাম্বিয়া, পাকিস্তান, মালাউই ও ভারত) প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন;

আরও পড়ুন: এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট-ডক্টরালে গবেষণা বৃত্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট

আবেদন যেভাবে—
আবেদনে আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

*আবেদনপত্র জমা দিতে প্রথমে একজন একাডেমিক পরামর্শদাতা ও একটি হোস্ট প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে হবে;

*পরামর্শদাতা আপনার প্রস্তাবের বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনার পর এবং যদি আপনাকে গবেষণায় সুযোগ দিতে আগ্রহী হন এবং তাদের হোস্ট প্রতিষ্ঠান আপনাকে অনুমোদন করে, তবেই আপনি স্কলারশিপের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন;

স্কলারশিপের আবেদনপদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ১ নভেম্বর।