বিমার আওতায় আসছে শিক্ষার্থীরা, ৮৫ টাকায় প্রতিমাসে মিলবে ৫০০ টাকা বৃত্তি

শিশু শিক্ষার্থী
শিশু শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিমার আওতায় আনতে চায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষে চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ প্রকল্প। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমার আওতায় যুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থীকে বছরে ৮৫ টাকা জমা দিতে হবে। বিমা সচল থাকা অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যু হলে ১৭ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত মাসে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে ওই শিক্ষার্থী।

আইডিআরএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী গত সোমবার ওই চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা পরিকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা পরিকল্প জীবন বিমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য সীমিত পরিসরে পাইলটিং করা হয়।

২০২৩ সালে এটি সব জীবন বিমা কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাতকরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ফলে গত বছরে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী এ বিমা পরিকল্পের আওতায় এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বিমার আওতায় আনা হয়েছে। যার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো- দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা। এ বিমার আওতায় ৩ থেকে ১৭ বছরের কোনো শিক্ষার্থীর বাবা-মা বা আইনগত অভিভাবক এ বিমা সুবিধার আওতায় আসতে পারেন।
 
এতে আরও বলা হয়, বছরে মাত্র ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বিমার আওতায় আসার পর, কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে, যা শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চলমান রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বার্ষিক প্রিমিয়াম আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করে, বর্ধিত বিমাসুবিধা (মাসিক বৃত্তি) পাওয়া যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ