১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৪৫

ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ

এই স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের পেশাদার দক্ষতা অর্জনের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়  © সংগৃহীত

ফ্রান্স হলো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন দেশগুলির একটি এবং এর শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম। প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ফ্রান্সের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে যায়। তাদের জন্য সবচেয়ে উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ হলো আইফেল স্কলারশিপ। এটি ফ্রান্স সরকার দ্বারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রদত্ত একটি জনপ্রিয় স্কলারশিপ।

এ স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা ফ্রান্সের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করতে পারবেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আইফেল এক্সিলেন্স স্কলারশিপ ফ্রান্সের ইউরো অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের একটি প্রোগ্রাম। এই স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের পেশাদার দক্ষতা অর্জনের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়। ইন্টার্নশিপে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদনের মাধ্যমে একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে হয়।

আরও পড়ুন: বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর করুন ফ্রান্সে

স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে অধ্যায়নের সুযোগ পাবেন—
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
• জীববিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য।
• ইকোলজিক্যাল ট্রানজিশন।
• গণিত এবং ডিজিটাল।
• প্রকৌশলবিজ্ঞান।
• মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের জন্য।
• ইতিহাস, ফরাসি ভাষা এবং সভ্যতা।
• আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
• অর্থনীতি এবং ব্যবস্থাপনা।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ—
• স্নাতকোত্তরের জন্য মাসিক ভাতা বাবদ ১,১৮১ ইউরো (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা) প্রদান করা হবে। 
• পিএইচডির জন্য মাসিক ভাতা বাবদ ১, ৪০০ ইউরো (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা) প্রদান করা হবে। 
• আবাসন ভাতা প্রদান করবে।
• যাওয়া-আসার বিমান খরচ।
• স্বাস্থ্য বীমা ও অন্যান্য ভাতা।
• স্নাতেকোত্তরের জন্য ১ বছর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত এ স্কলারশিপ দেয়া হবে।
• পিএইচডিতে সর্বোচ্চ ১ বছর এ স্কলারশিপ দেয়া হবে।

আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর-পিএইচডি করুন হাঙ্গেরিতে

যোগ্যতার মানদণ্ড—
• উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য বয়স ২৫–এর ওপরে হতে হবে।
• শিল্পোন্নত দেশ থেকে পিএইচডিতে আবেদনের জন্য বয়স ৩০–এর ওপরে হতে হবে। 
• ফ্রান্সের কোন নাগরিক এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবে না।
• পূর্বে কেউ স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে আরেকবার আবেদন করতে পারবেন না।
• কিন্তু পূর্বে কেউ স্নাতকোত্তরে এই স্কলারশিপ পেলে তিনি পিএইচডি এর জন্য পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
• শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজি অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। এক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর অথবা ফ্রেঞ্চ 
        ভাষা দক্ষতার সনদ জমা দিতে হবে।

আবেদনের ধাপসমূহ—
• ফরাসি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি ধাপে আবেদন করা যাবে।

আবেদন প্রক্রিয়া—
আইফেল স্কলারশিপ পেতে প্রথমে প্রার্থীকে ফ্রান্সের কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য ফর্ম পূরণ করার সময়ই উল্লেখ করবে যে, আইফেল স্কলারশিপ এর জন্য তিনি আবেদন করতে চান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে জানিয়ে দেবে যে তিনি স্কলারশিপ পেয়েছে কি না।

উল্লেখ্য যে, এই স্কলারশিপে শিক্ষার্থী সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ফ্রেঞ্চ হাইয়ার এডুকেশন ইনস্টিটিটিউশন্সের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

বিস্তারিত জানতে  এই লিংকে ক্লিক করুন