বিশ্ব ক্যান্সার দিবস আজ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ৯.৬ মিলিয়ন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। তাদের মধ্যে বহু মৃত্যুর ঘটনাই ঘটে রোগটিকে শুরুর দিকে শনাক্ত করতে না পারার কারণে। একারণে ক্যান্সার নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ০৪ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালন করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল নামক একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে ১৭০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়। আর এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। বর্তমানে ক্যান্সার আক্রান্তদের একটি বড় অংশই বাংলাদেশী। বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতা ও শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাই বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের রোগ তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সারটি কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটি কাছাকাছি কোনো অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তখন চিকৎসা কঠিন এবং ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।

বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে নারদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নারীদের বেলায় যে তিন ধরনের ক্যান্সারের কথা বেশি শোনা যায়, সেগুলো হল- জরায়ুর মুখে ক্যান্সার বা সার্ভিক্যাল ক্যান্সার, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার বা ওভারিয়ান ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেগম রোকেয়া আনোয়ার জানান, “বাংলাদেশের নারীরা জরায়ুমুখের ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের কারণে বেশি মারা যাচ্ছে। অথচ উন্নত বিশ্বে এটি শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। কারণ এই রোগ পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু এর জন্য আমি সুস্থ, অমি কেন চিকিৎসকের কাছে যাবে এই চিন্তা পরিহার করতে হবে। সুস্থ অবস্থায়ই নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং রোগ শনাক্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায়ই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।”

ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “ক্যান্সার যেন না হয় সেজন্য মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়ামের ওপর গুরুত্ব দেয়া এবং ধূমপান পরিহার করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে হবে। ”

 


সর্বশেষ সংবাদ