উচ্চশিক্ষায় জাপানের সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়
পড়ালেখা ও গবেষণার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যান্য দেশের তুলনায় সুর্যোদয়ের দেশ জাপান বেশ এগিয়ে। জাপান অর্থনীতি এবং তথ্য ও প্রযুক্তিতে যতটা এগিয়ে আছে ঠিক ততটাই এগিয়ে আছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী জাপানে পড়ালেখা ও গবেষণার জন্য যেয়ে থাকেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জাপানে রয়েছে অনেক আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়। আজ আমরা উচ্চশিক্ষায় জাপানের সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
(১) Tohoku University (তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়)
জাপানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে Tohoku University (তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়)। জাপানের তোহোকু অঞ্চলের মিয়াগির সেন্দাইতে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়।এই অঞ্চলের মানুষের কাছে আঞ্চলিকভাবে এটিকে টনপেই (Tonpei) নামে সম্বোধন করা হয়। বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জাপানে ১৯০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি ধারাবাহিকভাবে ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে জাপানে শীর্ষস্থান দখল করে টাইমস হায়ার এডুকেশন অনুসারে। জাপান ইউনিভার্সিটি রেংকিং এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২০১ থেকে ২৫০ তম। ইমপেক্ট রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২০০ তম।
জাপানের বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ৬২০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর ১১০৯৪ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭৭০৪ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। এছাড়াও বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১৩৪৬ জন। তোহোকু ইউনিভার্সিটি জাপানের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
(২) টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় (The University of Tokyo)
জাপানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় (The University of Tokyo)। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮৭৭ সালে মেইজি সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। জাপানের অন্যতম বিখ্যাত শহর টোকিও শহরের বাঙ্কিওতে অবস্থিত টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। জাপানের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্ব রেংকিং এ শীর্ষস্থান দখল করে আছে জাপানের মধ্যে। জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২য়। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বে ৩৫ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১০১ তম থেকে ২০০ তম এর মধ্যে।
অতীতে ১৮৮৬ থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ছিল ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি। পরবর্তীতে ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল ইম্পেরিয়াল টোকিও ইউনিভার্সিটি। এটি জাপান সরকারের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি প্রায় ১৪৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, অনুষদ সদস্য এবং গবেষকদের মধ্যে ১৭ জন জাপানের প্রধানমন্ত্রী, ১৮ জন সর্বশ্রেষ্ঠ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ৪ জন প্রিটজকার পুরস্কার বিজয়ী, ৫ জন মহাকাশচারী এবং একজন ফিল্ড মেডালিস্ট রয়েছে। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আয়তন হল প্রায় ৩৫ হেক্টর এছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ২৮১৮১ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪০৩৩ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ১৪১৩৮ জন। এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১৩৪৬ জন।
(৩) ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Osaka University)
জাপানের ষষ্ঠ প্রাচীনতম এবং সেরা আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Osaka University)। জাপানে ওসাকা প্রিফেকচার মেডিকেল কলেজ এবং জাপান এর আরও সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়টি জাপানের ওসাকা শহরের সুইটি নামক স্থানে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৪ সালে। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ১.৫৯ বর্গ কিলোমিটার। এটিও জাপানের অন্যতম একটি সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ২৩২২৬ জন।
জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৩য়। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০22 অনুযায়ী জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বে ৩০১-৩৫০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান ২০১ তম থেকে ৩০০ তম এর মধ্যে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫০৭৫ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৮১৫১ জন। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৫৩৭ জন। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাপান সরকারের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ফুল ফ্রি স্কলারশিপে কাতারে পড়ার সুযোগ, পাবেন মাসিক বৃত্তি
(৪) Tokyo Institute of Technology (টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি)
জাপানের গ্রেটার টোকিওতে অবস্থিত গবেষণা , তথ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ একটি সেরা ( পাবলিক ) ইনস্টিটিউট হচ্ছে Tokyo Institute of Technology (টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) । এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮১ সালে। জাপান যে সব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে সবার শীর্ষ রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। টোকিও ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়টি একদম গ্রামীণ পর্যায়ে অবস্থিত।
জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪র্থ। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বে ৩০১-৩৫০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২০১ তম থেকে ৩০০ তম এর মধ্যে। টোকিও ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির টোকিও টেকের তিনটি ক্যাম্পাস রয়েছে। যার প্রধান ক্যাম্পাস হিসেবে ওকায়ামা মেগুরোতে ওকায়ামা ক্যাম্পাস। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি শিবাউরার তামাচি ক্যাম্পাস এবং তৃতীয় ক্যাম্পাসটি ইয়োকোহামার মিডোরি-কু নাগাতসুতাতে অবস্থিত সুজুকাকেদাই ক্যাম্পাস।
টোকিও ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা হলো ১৩২৪ জন। টোকিও ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ৯০৩৬ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৯৪০ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৫০৯৬ জন।
(৫) কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় (Kyoto University)
জাপানের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা এবং দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়। জাপানের কিয়োটোতে অবস্থিত একটি পাবলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় এটি। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯৭ সালে। এটি প্রাক্তন ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ধারাবাহিকভাবে জাপানের শীর্ষ দুই, এশিয়ার শীর্ষ দশ এবং বিশ্বের উচ্চশিক্ষার শীর্ষ পঞ্চাশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়। জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫ম। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় (Kyoto University) বিশ্বে ৬১ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিটার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৯ তম।
জাপানের বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বয়স প্রায় ১২৫ বছর। কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় (Kyoto University) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসের মোট আয়তন হলো ৩৩৩ একর। কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ২২৬১৫ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৩,০৩৮ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৯৩০৮ জন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারী রয়েছে ৩৪৮০ ( শিক্ষক কর্মী) আর মোট প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছে ৩৯৭৮ (মোট স্টাফ)। কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
(৬) Hokkaido University (হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়)
Hokkaido University (হোকাইডো বিশ্ববিদ্যালয়) জাপানের আরেকটি অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। সাপ্পোরো হোক্কাইডোতে অবস্থিত এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ছিল জাপানের পঞ্চম ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি। Hokkaido University (হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়) যেট উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়কে জাপানের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি জাপান সরকারের শীর্ষ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি প্রকল্প দ্বারা একটি "শীর্ষ টাইপ" বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিল। জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৬ তম। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের Hokkaido University (হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়)বিশ্বে ৫০১ তম থেকে ৬০০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০ তম। Hokkaido University (হোকাইডো বিশ্ববিদ্যালয়), এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসটি সাপ্পোরো স্টেশনের ঠিক উত্তরে সাপ্পোরো শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত । এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসের মোট আয়তন ৩ (তিন) বর্গ কিলোমিটার প্রায়।
হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১৮৩০১ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১৯৩৫ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৬৩৩৬ জন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মোট প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছে ৬২৫০। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৮৯ জন গবেষণা শিক্ষার্থী [২০১৭] হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
(৭) Kyushu University (কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়)
Kyushu University (কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়) কিউত দ্বীপের ক্ষুকুওকাতে অবস্থিত একটি জাপানি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় । এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৩ সালে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেকগুলো ক্যাম্পাস রয়েছে।কিউও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১৮৫৬০ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১৬৮৩ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৬৮৭৭ জন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারী রয়েছে ২১১০ ( শিক্ষক কর্মী) আর মোট প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছে ২৩৫১ (মোট স্টাফ)। জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৭ তম । ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের Kyushu University (কিউণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়) বিশ্বে ৫০১ তম থেকে ৬০০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২০১ তম থেকে ৩০০ তম।
(৮) নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Nagoya University)
জাপানি সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Nagoya University) । নাগোয়া ইউনিভার্সিটি চিকুসা-কু, নাগোয়াতে অবস্থিত। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এটি ছিল জাপানের সপ্তম ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি। প্রথম পাঁচটি মনোনীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম একটি এবং জাপান সরকার কর্তৃক শীর্ষ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি প্রকল্পের শীর্ষ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসের আয়তন ৩.২ বর্গ কিলোমিটার। নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১৫৭৭২ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯৫৮৫ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৬১৮৭ জন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারী রয়েছে ৩৮৪ ৭জন। জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮ তম । ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Nagoya University) বিশ্বে ৩৫১ তম থেকে ৪০০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২০১ তম থেকে ৩০০ তম।
(৯) টিসুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Tsukuba)
জাপানের সুকুবা ইবারাকিতে অবস্থিত আরেকটি অন্যতম সেরা পাবলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় টিসুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Tsukuba)। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৯ তম।ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের সুকুরা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Tsukuba) বিশ্বে ৫০১ তম থেকে ৬০০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান ১০১ তম থেকে ২০০ তম। সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ১৬,৪৫৯ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯,৭৯৮ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৬,৬৬১ জন। উইকিপিডিয়া ২০২১ অনুযায়ী, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারী রয়েছে ২৬১৬ জন।
১০. হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় ( Hiroshima University)
হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের হিগাশিহিরোশিমা এবং হিরোশিমা, জাপানে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৯ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসের আয়তন ৩.২ বর্গ কিলোমিটার।
জাপান ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০ তম । ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় (Hiroshima University) বিশ্বে ৮০১ তম থেকে ১০০০ তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট ইউনিভার্সিটির রেংকিং ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান ১০১ তম থেকে ২০০ তম। হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১১৩২২ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৩,৩৫৮ জন।