ম্যাথ না দাগিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং— সিদ্ধান্ত নেবে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথ না দাগিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোন বিষয়ে উত্তর করতে হবে আর কোন বিষয়ে উত্তর করতে হবে না সেটি আমরা ওএমআর শিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিয়েছি। এখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি মনে করে ম্যাথের উত্তর না করলেও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়া যাবে তাহলে সেটি তাদের নিজেদের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করবো না।

আরও পড়ুন: গুচ্ছে প্রথম হওয়া সুমাইয়া আবারও ভর্তি পরীক্ষা দেবেন

অধ্যাপক ইমদাদুল হক আরও বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। সেখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির রিকুয়েরমেন্ট কি সেটি উল্লেখ করে দেবে।

এদিকে গণিতের উত্তর না করলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ভর্তিচ্ছুদের বড় একটি অংশ। তাদের মতে, যারা গণিতের উত্তর করেছেন তাদের থেকে যারা বায়োলজি বিষয়ের উত্তর করেছে তারা এগিয়ে যাবে। কেননা পরীক্ষায় গণিতের উত্তর করতে অনেক সময় ব্যয় হয়। এছাড়া প্রশ্নও তুলনামূলক কঠিন ছিল। 

সাঈদ আবদুল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেবার কম্পিউটার বিজ্ঞানের মতো বিষয় পেতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও এ বছর সুযোগ নেই। আর গত বছর বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক ছিল কিন্তু এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অপশনাল করা হয়। যে সকল পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় গণিত অংশ উত্তর করেনি তাদের বেশিরভাগেরই এইচএসসিতে গণিত অপশনাল ছিল। আমাদের তিনটি মেইন বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। ফলে তাদের গণিত পরীক্ষা দিতে হয়নি। আবার ভর্তি পরীক্ষায় গণিত না দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ দিলে যারা গণিতের উত্তর করেছে তাদের অন্যায় করা হবে। এইচএসসি অথবা ভর্তি পরীক্ষায় গণিতের দক্ষতার পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে তাদেরকে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং রিলেটেড সাবজেক্ট দেবে?

তিনি আরও বলেন, বাংলা অথবা ইংরেজি কখনো গণিতের বিকল্প হতে পারে না। গুচ্ছ কমিটির কাছে গণিত ও ইঞ্জিনিয়ারিং রিলেটেড সাবজেক্টের শর্তে ভর্তি পরীক্ষায় গণিত উত্তর বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাচ্ছি।

রাইসা সুলতানা জানান, ভর্তি পরীক্ষায় যারা ৫০ নম্বরের অধিক পেয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী বায়োলজি এবং বাংলা অথবা বায়োলজি এবং ইংরেজি বিষয়ের উত্তর করেছে। যারা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে গণিত দাগিয়েছিল তারা তুলনামূলক কম নম্বর পেয়েছে। কেননা গণিত প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না।


সর্বশেষ সংবাদ