পাস করেও ভর্তির সুযোগ পাবেন না ৮৬% ভর্তিচ্ছু
গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ অর্থাৎ ৮৫ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলে ৩০ নম্বরের সমান ও বেশি নম্বর পেয়ে ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাৎ ৮৫ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়া ৩০ এর নিচে নম্বর পেয়ে ৬৬ হাজার ৭১১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।
এদিকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১১ হাজার ৭১৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৩০টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫০টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪৫টি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৬০টি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৩৩টি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৭০টি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫১৫টি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭২টি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৮৫টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯২টি এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫০টি আসন রয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৬০টি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪৯টি, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৫টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে ১০০টি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২১০টি আসন রয়েছে।
এদিকে গুচ্ছে নতুন করে যুক্ত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- চাঁদপুর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন : গুচ্ছে বিজ্ঞান ইউনিটে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন?
উপরোক্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ভর্তি পরীক্ষায় ৮৫ হাজার ৫৮২ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলেও মোট ১১ হাজার ৭১৬ জন ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। সেই হিসেবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ৭৩ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তিচ্ছু গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
এদিকে প্রাপ্ত ফলের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছর ‘ক’ ইউনিটে ৮০ নম্বরের উপরে পেয়েছেন ৫০ জন, ৭০ এর ওপর এক হাজার ৬২১ জন, ৬০ এর ওপর পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ জন, ৫০ এর ওপর ২৯ হাজার ২২২, ৪০ এর ওপর ৫৪ হাজার ৯৭৩, ৩০ এর ওপর পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৫৮২ জন। আর ফেল করেছেন ৬৬ হাজার ৭১১ জন।
এদিকে প্রকাশিত ফলে ১ হাজার ৫৫১ জনের খাতা বাতিল করা হয়েছে। এসব কারণগুলোর মধ্যে- বহিষ্কার হয়েছেন ৩ জন, রোল এরের কারণে ২৯ জন এবং সেট/সাবজেক্ট কোড এররের কারণে ১ হাজার ৫১৯ জনের খাতা বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটে ৮৭ দশমিক ৫০ পেয়ে প্রথম হয়েছেন দুইজন। একজনের নাম সুমাইয়া রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। যৌথভাবে প্রথম হওয়া আরেক শিক্ষার্থীর নাম সুমাইয়া বিনতে মাসুদ। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন।