মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল সোমবার!
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী সোমবার (৪ এপ্রিল) প্রকাশ করতে চায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সেভাবেই ফল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফল প্রস্তুত করতে কিছুটা সময় লাগবে। অন্যবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশ করা গেলেও এবার সেটি সম্ভব হবে না। এছাড়া দুটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ফল প্রস্তুতের কাজ করানোয় অতিরিক্ত কিছু সময় দরকার হবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, ইতোমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রের ভর্তিচ্ছুদের ওএমআর শিট স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ অন্য কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের ওএমআর শিট ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল দুপুরের মধ্যে স্ক্রিনিংয়ের কাজ শেষ করে ফল প্রস্তুতের কাজ শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪ হাজার ১৭৫ জন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এবার ফল প্রকাশের জন্য চারদিন সময় নেয়া হয়েছে। তবে এর আগেই ফল প্রকাশ করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এবার বুয়েটের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগও মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের ওএমআর শিট দেখবে। এজন্য ফল প্রকাশে কিছুটা সময় লাগতে পারে। প্রাথমিকভাবে ফল প্রকাশের জন্য সোমবার নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো কারণে সোমবার ফল প্রকাশ করা না গেলে সেটি মঙ্গলবার (৫ মার্চ) প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান অংশের সমাধান
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অদ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফল প্রকাশে কিছুটা সময় বেশি লাগবে। তবে যতদ্রুত সম্ভব ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ৪ হাজার ১৭৫ পরীক্ষার্থী হলে যায়নি। পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন।