কৃষি গুচ্ছের ফলে অসঙ্গতির অভিযোগ সঠিক নয়
গুচ্ছভুক্ত সরকারি সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল নিয়ে শিক্ষার্থীরা যে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। কম নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা সব সময় এ ধরনের অভিযোগ করে থাকেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
এর আগে বুধবার বিকেলে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশের পর থেকেই এতে অসঙ্গতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষা শেষে মূল বই, কোচিং সেন্টারের উত্তরপত্র এবং অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে যে নম্বর পাওয়ার কথা তার আশেপাশেও নম্বর পাননি তারা। প্রকাশিত ফলে যে নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটি প্রত্যাশিত নম্বরের চেয়ে অনেক কম। এই অবস্থায় ফল পুনর্নিরীক্ষার সুযোগ দাবি করেছেন তারা।
মো. জহির রায়হান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা অনেক ভালো দিয়েছি। কিন্তু আমার আশানুরূপ ফল আসেনি। পরীক্ষা শেষে মূল পাঠ্যবই এবং কোচিং সেন্টারের উত্তরপত্র মিলিয়ে ৫০ এর উপরে নম্বর পাওয়ার কথা। তবে প্রকাশিত ফলাফলে পেয়েছি ৩০.২৫। এটি আমার প্রত্যাশীত ফলের চেয়ে অনেক কম।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, কম্পিউটারাইজড পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখা হয়েছে। ফলে একজনের ভুল হলে সবারই ভুল হওয়ার কথা। কিছু শিক্ষার্থীরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফল তৈরিতে ভুল হয়েছে এটি বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্ভুলভাবে ফল তৈরি করেছি। এর পরও যদি কোনো শিক্ষার্থীর ফল নিয়ে অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমাদের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানাতে পারে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে আলোচনা করবো।