গুচ্ছে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছে দেড় হাজার শিক্ষার্থী
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সময় শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এতে আবেদন করেছেন এক হাজার ৫০০ জনের বেশি ভর্তিচ্ছু। পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ বছর ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে খাতা পুনর্নিরীক্ষা করা হবে।
তথ্যমতে, গত ৭ নভেম্বর থেকে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই শিক্ষার্থীরা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেন। এজন্য প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে ফি পরিশোধ করতে হয়েছে তাদের। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) থেকে ফল পুনর্নিরীক্ষার কাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদনকৃতদের উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ হাতে দেখবেন। আর বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবেন উপাচার্যরা। সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে ‘রিচেকের’ ফল দিতেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছে। তাদের খাতাগুলো এখন আবার দেখা হবে।
কবে নাগাদ ফল প্রকাশ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফল প্রকাশ করতে সময় লাগবে। কেননা আমরা ‘ম্যানুয়ালি’ খাতাগুলো দেখব।
এদিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, পুনর্নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা, ফল নিয়ে সমালোচনার পর তা সংশোধন করেই প্রকাশ করা হয়েছিল। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হলে তার আবেদননের ফি ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানায় ওই সূত্র।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ফল নিয়ে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করেছেন সেটি ঠিক নয়। তাই ফল পুনর্নিরীক্ষায় তা পরিবর্তন হবার সম্ভাবনা কম। তবুও আমাদের যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমরা সেটি সংশোধন করে নেব। পুনর্নিরীক্ষায় ফল পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীরা আবেদনের অর্থ ফেরত পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর বাণিজ্য অনুষদের (সি ইউনিট) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত আয়োজিত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তবে ‘ক’ ও ‘খ’ ইউনিটের ন্যায় ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল ঘিরেও শিক্ষার্থীরা ছিল অসন্তুষ্ট। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ফলাফল চ্যালেঞ্জের সুযোগ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।