গুচ্ছের ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

 ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি
ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভর্তিচ্ছুরা। আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ সেশনে তার ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর গুচ্ছভুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি অনুষদে আবেদনের ক্ষেত্রে ৬৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পরও, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অন্যায্যভাবে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি প্রতি অনুষদের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনার পাশাপাশি যুক্তি দেখানো হয়েছিল যে, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি হ্রাস পাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। সমূহ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবল বাণিজ্যের মানসিকতা গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির দৃশ্যমান। শুরু থেকেই এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মহড়া চলছে। গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষার চূড়াতে আবেদনের ফি সর্বপ্রথম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করলেও পরবর্তীতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৬০০ টাকা করা হয়। নানা অজুহাতে সেই ভর্তি ফিকেও দ্বিগুণ করে ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে সেই অতিরিক্ত ফি নিয়েও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু অতীতের সকল নজিরকে অতিক্রম করে এবার ভর্তি পরীক্ষার পুনারায় শিক্ষার্থীদের উপর চাপান হয়েছে।

সকল বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের ট্যাক্সের অর্থে পরিচালিত হয়। ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কখনো বাণিজ্যের কেন্দ্র হতে পারে না। আমরা মনে করি যবিপ্রবি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সম অবিবেচনাপ্রসূত। করোনাকালে চরম ক্ষতির সম্মুখিন শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ফি মওকুফ করা যেখোনে প্রয়োজনীয় ছিল, সেই পরিস্থিতিতেও শুধুমাত্র গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি বাবদ ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বাণিজ্য করা হয়।

তারপরও শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত ফি আদায়ের নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাম মুনাফালোত্রী চরিত্রের নগ্ন প্রকাশ। শুধুমাত্র যবিপ্রবিতে প্রতি অনুষদে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর ৬৫০ টাকা ব্যয় হলে বিভিন্ন অনুষদে আবেদনের ক্ষেত্রে বিপুল অর্থভার বহন করতে হবে। এর বাইরে বাকি ১৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে সেই অর্থ আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ সংকুচিত হবে। আবার শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম না থাকায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে চান্স হবে তার সুনির্দিষ্ট কোন ধারণা পাব না। যারা আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারবে তারা ভর্তির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তিচ্ছুরা চরম আর্থিক বৈষম্যের শিকার হবে।

এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছে, কে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অবৈধ আবেদন ফি বাতিল করে পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের এই চরম সংকট নিরসনে আপনার কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করি।


সর্বশেষ সংবাদ