মেডিকেলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফল মোবাইলে

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে  © সংগৃহীত

এমবিবিএস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন যেসব শিক্ষার্থীদের ফলাফল মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রকাশিত ফলাফল এখনো অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত না হলেও যেকোন মুহূর্তে তা দিয়ে দেয়া হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এবারে লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফল প্রকাশ করা হবে।

এ ফলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ১৫ গুণ সমান ৭৫ নম্বর এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএর ২৫ গুণ সমান ১২৫ নম্বর রয়েছে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়।

আজ রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২ এপ্রিল) সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে চলমান শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩,৯৩৭ জন, পূর্ব শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। মােট পাশকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮,৯৭৫ জন। যা মােট পরীক্ষার্থীর ৩৯.৮৬ শতাংশ। নির্বাচিতদের মধ্যে মহিলা: পুরুষ অনুপাত ৫৪:৪৬ (মহিলা ২৩৪১, পুরুষ ২০০৯) জন ভর্তিচ্ছু।

এই ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মিশোরী মুনমুন। তার রোল নম্বর ২৫০০২৩৮। মিশোরী মুনমুনের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার মােট প্রাপ্ত নম্বর ২৮৭.২৫। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭.২৫ পেয়েছেন মুনমুন।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬,০৮২ জন শিক্ষার্থী। এবার ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়।

মেডিকেল ভর্তি আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, এবার যেহেতু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি তাই প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি হয়েছে। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তরাই সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। আমরা সর্বোচ্চ নম্বর থেকে শুরু করে আসন সংখ্যা পর্যন্ত নম্বর কাউন্ট করব। এর পরেরগুলো বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ