মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল দেখবেন যেভাবে

প্রতীকী
প্রতীকী

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০ জন ভর্তিচ্ছু নির্বাচিত হয়েছেন। এতে মােট ৪৮,৯৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা মােট পরীক্ষার্থীর ৩৯.৮৬%। রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২ এপ্রিল) সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর তা অধিদপপ্তরের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে (https://result.dghs.gov.bd/mbbs/) ফল প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীরা নিজেদের ফলাফল দেখতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন যেসব শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রকাশিত ফলাফল যেকোন মুহূর্তে রেজাল্ট অধিদপপ্তরের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে। ফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

প্রকাশিত ফলাফলে চলমান শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩,৯৩৭ জন, পূর্ব শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। মােট পাশকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮,৯৭৫ জন। যা মােট পরীক্ষার্থীর ৩৯.৮৬ শতাংশ। নির্বাচিতদের মধ্যে মহিলা: পুরুষ অনুপাত ৫৪:৪৬ (মহিলা ২৩৪১, পুরুষ ২০০৯) জন ভর্তিচ্ছু। এই ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মিশোরী মুনমুন। তার রোল নম্বর ২৫০০২৩৮।

মিশোরী মুনমুনের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার মােট প্রাপ্ত নম্বর ২৮৭.২৫। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭.২৫ পেয়েছেন মুনমুন।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬,০৮২ জন শিক্ষার্থী। এবার ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে। এমবিবিএস পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। এ ৪০ নম্বর পেয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৪,৩৫০ জন শিক্ষার্থী।

মেডিকেল ভর্তি আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, এবার যেহেতু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি তাই প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি হয়েছে। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তরাই সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। আমরা সর্বোচ্চ নম্বর থেকে শুরু করে আসন সংখ্যা পর্যন্ত নম্বর কাউন্ট করব। এর পরেরগুলো বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ