মেডিকেল পরীক্ষা: চান্স পেতে কত মার্ক প্রয়োজন?

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

শেষ হয়েছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। যদিও ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের তীব্র বিরোধ ছিল। তবুও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার তুলনামূলকভাবে প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। ফলে এবার কাট মার্কস (চান্স পাওয়ার সর্ব নিম্ন নম্বর) অনেক কম হবে। যদিও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কাট মার্কস ছিল ৬৭। তবে এবার কাট মার্কস ৬০ থেকে ৬৪ এর মধ্যে থাকবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ‘ব্যাটল অফ বায়োলজি’ কোচিং সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী সাদিকুর রহমান সাদাব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা প্রতিবার দেখি জোর সালের প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকে। আর বিজোড় সালের প্রশ্ন সহজ হয়। তবে এবার বিজোড় সাল হলেও প্রশ্ন তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার কাট মার্কস খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৬১.৫ থেকে ৬৪ এর মধ্যে পেলেই আশা করছি সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ হবে। এছাড়া যেহেতু এবার ইউনিভার্সিটিগুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনেক পড়ে হবে, তাই মাইগ্রেশনের বড় একটা সুযোগ থাকবে। মেডিকেলের আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ এর কিছু বেশি হলেও এবার যারা ৫ হাজার সিরিয়ালের মধ্যে থাকবে, তারা সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন।

এদিকে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে উত্তরপত্রগুলো স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো শুরু হয়েছে। অধিদপ্তর উত্তরপত্রগুলো সংগ্রহ করে স্ক্যান করবে। এরপর স্ক্যান করা উত্তরপত্রগুলো সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেখা হবে। এবার এই কাজটি করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি (সিএসই) বিভাগকে সংযুক্ত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এবার আমরা পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বুয়েটের সিএসই বিভাগকে সম্পৃক্ত করেছি। আশা করছি ফল প্রকাশ করতে খুব একটা সময় লাগবে না।

কীভাবে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করা হবে এম প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এবার যেহেতু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তাই প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি হবে। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তরাই সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। আমরা সর্বোচ্চ নম্বর থেকে শুরু করে আসন সংখ্যা পর্যন্ত নম্বর কাউন্ট করব। এর পরেরগুলো বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে পারবেন।

প্রসঙ্গত, সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এবার ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ