জেডিসি-দাখিলে ভালো করেও এইচএসসিতে ফল বিপর্যয়ের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো ফল করেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ফলে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে তাদের। অন্যদিকে ফল প্রস্তুতকারী শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, যাদের ফল নিয়ে সমস্যা আছে, তারা আপিল করলে কীভাবে রেজাল্ট দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা অনেকেই জেডিসি (অষ্টম শ্রেণি)  পরীক্ষায় এ গ্রেড পেয়েছে, আবার দাখিলেও (এসএসসি) এ গ্রেড পেয়েছে। অথচ এইচএসসিতে তাদের ফলাফল সি গ্রেড এসেছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার গড় করে ফল দিলে এর চেয়ে ভালো রেজাল্ট আসত বলে দাবি তাদের।

এ প্রসঙ্গে, ঢাকা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মহসীন হোসেন জানান, মাদরাসা বোর্ড থেকে জেডিসি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছিলাম ৪.১০ এবং মানবিক বিভাগ থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে আমার পয়েন্ট ছিল ৪.০০ কিন্তু অটোপাসের কারণে আমার এইচএসসির রেজাল্ট এসেছে ৩.১৭। ফলে কোন বিষয়ের সাথে সাবজেক্ট ম্যাপিং করেছে সেটি আমার বোধগম্য না।

ফজলে রাব্বি নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অটোপাস দেয়ায় সবাই অনেক ভালো ফল করেছে। তবে আমরা যারা মাদরাসা বোর্ড থেকে জেনারেল লাইনে এসেছি, অজানা কারণে তাদের ফল বিপর্যয় হয়েছে। আমার জেডিসিতে ৪.৩০ ছিল। আর দাখিলে ছিল ৪.০০। কিন্তু এইচএসসিতে এসেছে ৩.১৭। এর কারণে আমি ভালো কোথাও ভর্তিও হতে পারবো না।

তবে শিক্ষার্থীদের বিগত পরীক্ষার সাথে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে যে ফল এসেছে সেটির ভিত্তিতেই রেজাল্ট দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, জেডিসি এবং দাখিল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে মাদরাসা থেকে আসার কারণে তাদের ফল খারাপ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাবজেক্ট ম্যাপিং করেই ফল দেয়া হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ম্যাথমেটিক্স, আইসিটি বিষয়ের ম্যাপিং করে ফল দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সে যতটুকু গ্রেড প্রাপ্য, ততটুকুই পেয়েছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফল দেয়া হয়েছে। এখানে অন্যকিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। যারা জানতে চান তাদের সাবজেক্ট কীভাবে ম্যাপিং করা হয়েছে তাদের বোর্ডে আবেদন করতে বলেন। আমরা বিস্তারিত জানিয়ে দেব।