চতুর্থ বিষয়সহ এইচএসসি’র ফল, সহজ হবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি

পরীক্ষা
পরীক্ষা  © ফাইল ফটো

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ শিক্ষার্থীদের ফলাফল দেয়ার বিষয়টি অনুমোদনের জন্য খসড়া নীতিমালায় রাখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে চতুর্থ বিষয়সহ ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট দেয়া হবে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। ফলাফল প্রস্তুতিতে কাজ করা টেকনিক্যাল কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করেই এইচএসসির ফল দেয়া্ হবে। এক্ষেত্রে এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ নম্বর কাউন্ট করা হবে। এসএসসিতে চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা যেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও নজর রাখছে টেকনিক্যাল কমিটি। সেক্ষেত্রে এসএসসিতে চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে চতুর্থ বিষয়সহ এইচএসসির রেজাল্ট দেয়ার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়নি। চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তবেই চতুর্থ বিষয়সহ রেজাল্ট দেয়া হবে।

এসএসসিতে যারা চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ-৫ পেয়েছিল, তাদের রেজাল্ট কীভাবে দেয়া হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার পরীক্ষা না হওয়ায় অটোপাস দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো ছাত্র-ছাত্রী যেন ভালো ফলাফলের হাত থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ফলাফল নিয়ে যেন কেউ অসন্তুষ্ট না থাকে সে দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর ডিসেম্বর মাসে এইচএসসি ও সমমানের রেজাল্ট দেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী রেজাল্ট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জেএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে এইচএসসি’র ফল দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশের জন্য জাতীয় পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রেড মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রস্তুতের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, দেশের সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। এক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ জন, দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ৫৪ হাজার ২২৪ জন এবং সকল বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ৫১ হাজার ৩৪৮ জন এবার পরীক্ষার্থী রয়েছেন। নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর বাইরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৯০ জন। মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী রয়েছেন ১৬ হাজার ৭২৭ জন।


সর্বশেষ সংবাদ