চলতি মাসে নাও হতে পারে এইচএসসির ফল

পরীক্ষার্থী
পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

এইচএসসি ও সমমানের রেজাল্ট প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিডিউল পাওয়া না পাওয়া, ফল প্রকাশের চূড়ান্ত অনুমোদনসহ কয়েকটি কারণে চলতি ডিসেম্বর মাসে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নাও হতে পারে। আগামী জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে রেজাল্ট প্রকাশ হতে পারে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রেড মূল্যায়ন কমিটি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই সূত্র জানায়, ফলাফল প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলাফল প্রকাশের জন্য সবকিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পায়নি। খসড়া আকারে সবকিছু থাকায় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চলতি মাসে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ নাও হতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চলতি সপ্তাহে ফল প্রকাশের জন্য সময় দিতে পারেন এবং খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন পায় তাহলে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রেজাল্ট দেয়ার। সে লক্ষেই সংশ্লিষ্টরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। ফলাফল প্রকাশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন প্রয়োজন হয়। দেখা যাচ্ছে আমরা সবকিছু প্রস্তুত করে রাখলাম, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিডিউল ব্যস্ততার কারণে তিনি সময় দিতে পারলেন না, তখন হয়তো ফল প্রকাশের কাজ কয়েকদিন পিছিয়ে জানুয়ারিতেও যেতে পারে। তবে আমরা চলতি মাসেই ফল প্রকাশের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

এর আগে গত ৭ অক্টোবর ডিসেম্বর মাসে এইচএসসি ও সমমানের রেজাল্ট দেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী রেজাল্ট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জেএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত গ্রেডের ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে এইচএসসি’র ফল দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশের জন্য জাতীয় পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রেড মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। গ্রেড মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রস্তুতের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, দেশের সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। এক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ জন, দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ৫৪ হাজার ২২৪ জন এবং সকল বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ৫১ হাজার ৩৪৮ জন এবার পরীক্ষার্থী রয়েছেন।  নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর বাইরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৯০ জন। মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী রয়েছেন ১৬ হাজার ৭২৭ জন।


সর্বশেষ সংবাদ