সোহরাওয়ার্দী কলেজে কমেছে পাসের হার, বেড়েছে জিপিএ ৫
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে নয়টি সাধারণ বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফলাফল এই (https://eduboardresults.gov.bd/) ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ফলাফল প্রকাশের পরেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। এর ব্যতিক্রম ছিল না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে। পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে অবস্থিত বিদ্যাপীঠটিতে এ বছর পাসের হার হল ৮০.০৯ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ জন।
জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৫ জন এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ৪ জন পেয়েছেন। এ বছর ২১২৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ১৭০২ জন।
গত বছর সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাসের হার ছিল ৮০.৪৪ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ জন।
এছাড়াও বিগত তিন বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২০ সালের (বৈশ্বিক মহামারী করোনা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রদান) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৯.৯২ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১৬৬ জন। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের (সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় যা এসে দাঁড়ায় ৯৬.৭৩ শতাংশ এ এবং জিপিএ ৫ পায় ৯৫ জন। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ গতবছরের পাসের হার নেমে আসে ৮৭.৬৮ শতাংশ এ এবং জিপিএ ৫ পায় ১১৯ জন।
ফলাফল দেখুন এখানে
এছাড়া মুঠোফোনের SMS-এর মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এজন্য মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী-৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ী-মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়। এতে কারও পাঁচ বিষয়, আবার কারও ছয় বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সেগুলোতে এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে। আর যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর ও গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ হবে।