প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছর সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি বোর্ডের সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এ ফলের অপেক্ষায় আছেন।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১টায় নিজ নিজ কলেজ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে পরীক্ষার ফলাফল পাবেন।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারাদেশে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৫৮টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। এর আগে ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।
যেভাবে ফলাফল জানা যাবে
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরণ: HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে পরীক্ষার ফলাফল।
এছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করা যাবে।
তাছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল ডাউনলোড করে প্রকাশ করার জন্য https://dhakaeducationboard.gov.bd/ ওয়েবসাইটের Result কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনের মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।