জিপিএ-৫ এর ছড়াছড়ি

  © ফাইল ফটো

এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। যা আগের বছর ছিল এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন। বিগত পাঁচ বছরে পাবলিক এই পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাসের হারে কিছুটা তারতম্য ঘটলেও এবার শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ জিপিএ-৫ পেয়েছে তা অতীতে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

জিপিএ-৫ বাড়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কারণ এবার শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতির সময় পেয়েছে। শ্রেণীকক্ষে ক্লাস হয়েছে। তারা অনেক বেশি পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। সে কারণে আমি মনে করি জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও বেড়েছে।  

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শিক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল জানান।

বিগত ৫ বছরে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন, ২০১৯ সালে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন, ২০২০ সালে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, ২০২১ সালে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে।

২০২২ সালে জিপিএ-৫ এর এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। আগের বছরের থেকে ৮৬ হাজার ২৬২ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। শুধু সংখ্যাই বাড়েনি, তা পাসের হারেও প্রভাব ফেলেছে।  

বিগত পাঁচ বছরে মাধ্যমিক স্তরের এই পরীক্ষায় পাসের হারে সামান্য তারতম্য দেখা যায়। ২০১৮ সালে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭, ২০১৯ সালে ৮২ দশমিক ২০, ২০২০ সালে ৮২ দশমিক ৮৭, ২০২১ সালে ৯৩ দশমিক ৫৮ এবং ২০২২ সালে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এই পাঁচ বছরে ২০২১ সালে পাসের হার সর্বোচ্চ থাকলেও চলতি বছরে তা কমে গেছে।  

পাসের হার কমা নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, এবার সিলেটে পাসের হার কম। যা ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম।

সিলেটে বন্যার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ছেদ ঘটে বলে সেখানে ফল কিছুটা খারাপ হতে পারে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এরপরও আমরা খতিয়ে দেখতে পারি কী কী কারণে পাসের হার কম হয়েছে। অন্যদিকে, যশোর বোর্ডে পাসের হার বেশি হওয়ায় তা মোট হারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


সর্বশেষ সংবাদ