গুচ্ছের সভায় যে সিদ্ধান্তগুলো হলো
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সভা করেছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। সভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে গুচ্ছের ভর্তি আবেদন শুরু হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ১৩ অথবা ১৪ অক্টোবর। গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ভর্তি আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
ওই সূত্র আরও জানায়, গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। যদিও পূর্বে এক আবেদনে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের কথা বলা হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা আলাদা হওয়ায় আবেদন পৃথক পৃথক ভাবে নেওয়া হবে। তবে মেধাতালিকা কেন্দ্রীয়ভাবে দেওয়া হবে।
এ প্রসেঙ্গে জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইটেরিয়া ভিন্ন। তাই আবেদন পৃথক পৃথক ভাবে করতে হবে। তবে মূল ওয়েবসাইট একটিই। ওই ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথক ভাবে একটি মেধাতালিকা তৈরি করবে। এই তালিকা তারা সেন্ট্রাল এডমিশন কমিটির কাছে পাঠাবে। এরপর সেন্ট্রাল কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মেধাতালিকা তৈরি করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
যবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, প্রথম মেধাতালিকায় চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবশ্যিকভাবে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি না হলে তার সেই আসন ফাঁকা ঘোষণা করা হবে। মেধাতালিকায় শিক্ষার্থীরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে সেখানে তাকে ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তির সাথে তাকে তার সার্টিফিকেটগুলো জমা দিতে হবে। এরপর সে মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে।
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এবার যেকোন ধরনের কোটায় ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা ৩০ নম্বর। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০। তাই কোটায় ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হবে।