পবিত্র কোরআন পোড়ানো ব্যক্তির নয়, ছবিটি একজন প্লেগ আক্রান্তের
হাসপাতালে শয্যাশায়ী প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই হাত কালো হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তির ছবি আর কোরআন পোড়ানো এক ব্যক্তির ছবি একসঙ্গে শেয়ার করে সম্প্রতি ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে, নরওয়েতে কোরআন পোড়ানো এক ব্যক্তির দুই হাতে পচন ধরেছে।
গত ২২ জুন ‘জাইমা রহমান অফিসিয়াল গ্রুপ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে ‘ইসলামিক টিভি’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে করা একটি পোস্টে এমন দাবি করা একটি পোস্ট করা হয়। এতে প্রায় পাঁচশ রিয়্যাক্ট এবং এটি আড়াইশর বেশি বার শেয়ার হয়েছে। একই দাবিতে ফেসবুকে ওই ব্যক্তির ছবি দিয়ে আরও পোস্ট করা হয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে।
অথচ ছবিটির হাত ফুলে কালো হয়ে যাওয়া ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের। ২০১২ সালে হাতে বিড়ালের কামড়ের পর তিনি বিরল ধরনের প্লেগ রোগে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালের ১৮ জুলাই যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্লেগ আক্রান্ত পল গেইলর্ড ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ফেসবুকে শেয়ার করা পোস্টগুলোর নিচের ছবিটিতে মাথায় ক্যাপ পরিহিত ব্যক্তির ছবিটি প্রকৃতপক্ষেই পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়া ব্যক্তির। নরওয়েতে ২০১৯ সালের ঘটনা এটি। রাশিয়ার রাষ্ট্রিয় গণমাধ্যম আরটি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ের নেতা লার্স থরসেন পবিত্র কোরআনে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে লার্স থরসনকে ধর্মগ্রন্থ অবমাননার দায়ে ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অতএব নরওয়েতে ২০১৯ সালে পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়া লার্স থরসেন এবং প্লেগ আক্রান্ত পল গেইলর্ড একই ব্যক্তি নন। এ বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে এএফপি বাংলা ফ্যাক্টচেক ও বুম বাংলাদেশসহ অনেক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দাবিটি যাচাই করেছে।