ইসলামী বক্তা আমির হামজার মুক্তির খবরটি ভুয়া
ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজার মুক্তি পাওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অনেকে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে (২৯ জুন) এমডি মান্নান নামক একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে আমির হামজার মুক্তির খবর সংবলিত পোস্ট করা হয়। পোস্টের নিচে একাধিক ব্যক্তি এ খবরের সত্যতা জানতে চেয়েছেন।
এ ছাড়া আজ বুধবার (৩০ জুন) ‘গানের জগৎ লাইভ পেইজ গ্রুপ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে ‘মো: কাজেম’ নামক একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করে বলা হয়, ‘অবশেষে মুক্তি পেলেন আমাদের সবার প্রিয় মুফাসসির আমির হামজা।’ ওই পোস্টে ওয়ার্ল্ডনিউজএই ডটকম নামক একটি ওয়েবসাইটের আমির হামজার মুক্তি পেয়েছেন র্মমে শিরোনাম সংবলিত লিঙ্ক শেয়ার করা হয়।
এ ছাড়াও গাজী টোয়েন্টিফোর ডটকম নামক একটি ফেসবুক পেজে একই নামের ইউআরএলের একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করা হয়। ‘হঠাৎ করে আমির হামজা হুজুরের মুক্তি হুজুর নিজেই অবাক’ শিরোনামের লিঙ্কটি সেখানে ৬ ঘণ্টায় ৮৩ বার শেয়ার হয়েছে বলে দেখায়।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস ফ্যাক্টচেক টিম যাচাই করে দেখেছে, মুফতি আমির হামজার মুক্তি পাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। দুটি ওয়েবসাইটের শিরোনামে মুক্তির কথা বলা হলেও খবরের অংশে কিছুই বলা নেই। আর দেশের মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমেও মুফতি আমির হামজার মুক্তি অথবা জামিন সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে তাঁকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইন বাংলা সংস্করণে ‘কুষ্টিয়ায় আমির হামজা গ্রেপ্তার’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, আলোচিত-সমালোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর পর সর্বশেষ ৩১ মে প্রথম আলোয় ‘স্বীকারোক্তি দিলেন আমির হামজা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে পুলিশের বরাত দিয়ে আমির হামজা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ‘ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন আাসমি মুফতি আমির হামজার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।’
মূলধারার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে কারাগারেই রয়েছেন আমির হামজা। ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটে দাবি করা তাঁর মুক্তির খবরে জামিন ও কারামুক্তি সম্পর্কেও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ নেই। অতএব আমির হামজা মুক্তির খবরটি সঠিক নয়।